গোটা একদিন ইডির ম্যারাথন জেরা, টানটান উত্তেজনার পর বিজেপির দাবি 'পিকচার আভি বাকি হ্যায়'
"এটা তো ট্রেলারমাত্র, পিকচার আভি বাকি হ্যায়" শুভেন্দু অধিকারী
শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ ইডির একটি দল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলার বাড়িতে পৌঁছান। ২৪ ঘন্টা অতিক্রান্ত। শনিবার সকালেও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির বাইরে লোকজনদের আনাগোনা দেখা গিয়েছে, চলেছে রীতিমতো দৌড়ঝাঁপ। তবে এখনও ইডির আধিকারিকরা সেখানেই আছেন, এমনটাই বিশেষ সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।
গতকাল গোটা দিন-রাত জুড়ে একের পর এক চাঞ্চল্যকর খবর। উদ্ধার হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ নথি। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্ত্রীত্ব থাকবে কী না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করে দিয়েছেন রাজনৈতিক মহল। অনেকেই বলছেন, একুশে জুলাইয়ের কড়া ঝাঁঝের বক্তৃতার পর এই ঘটনা 'আফটার শক' নয় তো? সব মিলিয়ে দিনভর টানটান উত্তেজনা উপভোগ করলেন বাংলার আমজনতা।
এদিকে শুক্রবার রাতের দিকে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর টুইট, 'এটা তো ট্রেলারমাত্র, পিকচার আভি বাকি হ্যায়'। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ সাফ জানিয়েছেন, "ইডি যে টাকা উদ্ধার করেছে, তার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। এই তদন্তে যাদের নাম আসছে, এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব দেওয়ার দায়িত্ব তাঁদের বা তাঁদের আইনজীবীদের। কেন দলের নাম জড়িয়ে প্রচার চলছে, দল নজর রাখছে। যথাসময়ে বক্তব্য জানাবে।"
কুনাল ঘোষ যাই বলুক, ঘটনার পর একের পর এক অভিযোগ উঠে এসেছে। বিরোধী দলগুলি উঠে পড়ে লেগেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে তেমন কোন কড়া জবাব মেলেনি। পার্থ চট্টোপাধ্যায় কি গ্রেফতার হবেন? এই প্রশ্নই এখন তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরমহলে। সব মিলিয়ে শুক্রবারের পরও শনিবার সকাল থেকেই মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই।