নারদ কান্ডে গ্রেফতারির ইস্যুতে 'অপমানিত' রাজ্যপালকে একহাত নিলেন ঋত্বিক-সায়নী
এদিন সায়নী রাজ্যপালকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘মাননীয় দালাল’
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে, বলাবাহুল্য ঠিক প্রার্থী ঘোষণার কয়েকদিন আগেই বাংলার মানুষ বুঝেছিলেন বাংলার তারকারা যথেষ্ট রাজনীতি সচেতন। এবং তাঁরা মানুষের জন্য কাজও করতে চান, আর সে কারণেই দলে দলে বিভিন্ন রাজনৈতিক শিবিরে যোগদানের হিড়িক উঠেছিল তারকাদের। তবে অনেকেই আছেন যারা কোনও দলে যোগ দেননি তবে সাধারণ নাগরিক হিসেবে সোশ্যাল মাধ্যমে নিজের বক্তব্য পেশ করেন। আবার অনেকে এমন আছেন যারা রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত, কিন্তু প্রার্থী হিসেবে সামনে আসেন না বরং দলীয় কর্মী হিসেবে প্রার্থীদের আপ্রাণ চেষ্টা করেন। তেমনই রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী (Ritwick Chakraborty)। লিখেছিলেন “এটা কি অপমান? উনি কি অপমানিত?”
ঋত্বিকের এই পোস্টের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়েই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে (Jagdeep Dhankhar) একহাত নিয়েছেন নেটিজেনদের একাংশ। তাতেই বহুজনের বহু মত। গতকালের নারদ মামলা অর্থাৎ নিজাম প্যালেসের ইস্যু নিয়ে সরব হয়েছেন অনেকেই। বিধানসভার স্পিকারের অনুমোদন ছাড়া কীভাবে বিধায়কদের গ্রেফতার করা হয়, সেই নিয়েও উঠেছিল প্রশ্ন। এমন নারদ কান্ডে কেন শুভেন্দু, মুকুল ও শঙ্কুদেব পন্ডার নাম নেই? এ বিষয়েও কথা উঠলেও কোনো সঠিক প্রতিক্রিয়া মেলেনি। আর এতে ক্রমশ রাজ্যপালের দিকেই আঙুল তুলেছেন অধিকাংশ। গতকালও রাজভবনের সামনে চলে বিক্ষোভ। আজও রাজভবনের সামনে এক ব্যক্তি ছাগল নিয়ে উপস্থিত হন।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লেখেন, রাজ্যপালের অপসারণের দাবিতে। উল্লেখ্য, এরাজ্যের রাজ্যপাল হয়ে আসার পর থেকেই কার্যত সরকার বিরোধী অবস্থান নিয়েছেন জগদীপ ধনকড়। মমতা সরকারের বিরোধীতা করে একাধিকবার ট্যুইটে সরব হয়েছেন। রাজ্যের প্রশাসনিক ব্যবস্থা এবং মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়েও বারংবার মুখে খুলেছেন জগদীপ ধনকড়।
তবে এর মাঝে বুধবার অবধি জেল হেফাজতে চার হেভিওয়েট নেতা। এবার এই ইস্যুতে মুখ খুললেন তৃণমূলের সদস্য ও অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। নারদ কাণ্ডে করোনা মহামারীর মাঝে চলা লকডাউনে হঠাৎ সিবিআইয়ের সক্রিয় হয়ে ওঠা ও রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং দুই বিধায়ক মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করা প্রসঙ্গে গতকাল তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ট্যুইট শেয়ার করে সায়নী লিখেছেন, "ওঁরা যে আনন্দটা পেতে চাইছে, সেটা হতে দেবেন না। সমস্ত তৃণমূল সমর্থক এবং বাংলার মানুষের কাছে অনুরোধ লকডাউনের নিয়ম ভাঙবেন না আর শারীরিকভাবে বিরোধ করবেন না। বিচার ব্যবস্থার ওপর আমাদের সকলের সম্পূর্ণ আস্থা আছে। আমরা জানি আমাদের কাছে কী আছে!"
এখানেই শেষ নয়, এদিন সায়নী, রাজ্যপালকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘মাননীয় দালাল’। সায়নী লেখেন, "বাংলা দখল করতে এঁরা মরিয়া হয়ে উঠেছে। মাননীয় দালাল প্রশাসনের কাজে বাধা দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত কাজ করছেন ও রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার স্বপ্ন দেখছেন। প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর শাসন জারি করতে গিয়ে ২১৩% জুতোর বাড়ি খেয়েছেন আর এবার রাষ্ট্রপতি শাসন? দেখে নেব আমরা!"