তৃণমূল প্রার্থী শোভন জায়া রত্না মোট ১২ কোটির মালিক, কিন্তু ঋণ রয়েছে ৫ কোটির
বেহালা পূর্ব থেকে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে একুশে বিধানসভা নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন রত্না চট্টোপাধ্যায়
একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গেছে বাংলায়। ইতিমধ্যেই গত শনিবার প্রথম দফা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে এবং আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। মোটামুটি বিক্ষিপ্ত অশান্তি ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ পর্ব চলছে। এরই মাঝে কলকাতা পৌরসভার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায় তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বেহালা পূর্ব কেন্দ্র থেকে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হবেন। ইতিমধ্যে তিনি নির্বাচন কমিশনের কাছে মনোনয়নপত্র এবং হলফনামা পেশ করেছেন। সেই হলফনামা সূত্রে জানা গিয়েছে, রত্না চট্টোপাধ্যায়ের শেষ ৫ বছরের কোন বছরে বার্ষিক আয় ৪১ লাখ, আবার কোন বছরে ৮০ লাখ ও আবার কোন বছরে ৭৭ লাখ টাকা। আজকের এই প্রতিবেদনে হলফনামায় উল্লেখিত রত্নার সম্পত্তি সম্বন্ধে জেনে নিন।
শোভন জায়া রত্না যে বেশ ধনী তা তার বার্ষিক আয়ের হিসেবেই বোঝা গিয়েছে। তার বার্ষিক আয় ৭০ লাখের বেশি থাকে সবক্ষেত্রে। এছাড়া তার হাতে এই মুহূর্তে নগদ রয়েছে ৪ লাখ ৫৮ হাজার ২৩২ টাকা। এছাড়া বিভিন্ন ব্যাংকের স্থায়ী আমানত, রেকারিং, মিউচুয়াল ফান্ড, পিপিএফ, শেয়ারবাজার ইত্যাদি মিলিয়ে তার মোট সম্পদের পরিমাণ ২ কোটি ৪৭ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। এছাড়া তার কাছে ৩৬৮ গ্রাম সোনার গয়না সহ বিভিন্ন মূল্যবান অলঙ্কার রয়েছে যার বাজার মূল্য ১৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এছাড়াও বাড়িতে ৭৮ হাজার টাকার ল্যাপটপ, ৫৬ হাজার টাকার শীততাপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র, ১১ হাজার টাকার সেলাই মেশিন, ২৪ হাজার টাকার মোবাইল ফোন ও ১৮ হাজার টাকার ভ্যাকিউম ক্লিনার আছে। সব মিলিয়ে হিসাব করলে তার অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৩ কোটি ৬২ লাখ ৮৭ হাজার ৬২১ টাকা। তবে তার হলফনামায় স্থাবর সম্পত্তি কত রয়েছে তার হিসাব নেই। তবে মোট স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি মিলিয়ে রত্না চট্টোপাধ্যায় মোট ১২ কোটি ৫৮ হাজার ৭৯৫ টাকার মালিক।
রত্না চট্টোপাধ্যায় যেমন একদিকে বিষয় সম্পত্তির মালিক অন্যদিকে তার বিভিন্ন সংস্থা থেকে একাধিক লোন রয়েছে। তার আইসিআইসিআই ব্যাংক থেকে ১১ লাখ ৬২ হাজার ১০২ টাকার লোন আছে। এছাড়া তার বাড়িতে দুটি গাড়ি আছে যা লোন দিয়ে কেনা। একটি ফরচুনার এবং একটি হণ্ডা সিআরভির জন্য তার গাড়ি ঋণের মোট পরিমাণ ১১ লাখ ৪৩ হাজার ২৯৩ টাকা। এছাড়াও এলআইসি হাউসিং ফিনান্স থেকে ১ কোটি ৬৬ লাখ ৭৯ হাজার টাকার ঋণ আছে তার। সব মিলিয়ে তার দেনার হিসাব করলে তার মোট দেনা রয়েছে ৫ কোটি ৯৮ লাখ ৭৬ হাজার ১০ টাকা। এছাড়াও আইকর দপ্তরের কাছে তার ৬৭ লাখ ৫৪ হাজার ৫২০ টাকা ট্যাক্স দেওয়া বাকি রয়েছে।