ব্রিগেডের সমাবেশ থেকে 'আসল পরিবর্তন'-এর মানে বুঝিয়ে একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি দিলেন প্রধানমন্ত্রী
গরিব ঘরের ছেলেমেয়েদের ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মেডিক্যালে সুযোগ দিতে বাংলায় পড়াশোনা চালু করতে জোর দেওয়া হবে : মোদীর প্রতিশ্রুতি
বিধানসভা ভোটের আগে রবিবার বিজেপির ব্রিগেড সমাবেশ নিয়ে আলাদা কৌতূহল ছিল জনসাধারণের মধ্যে। আর তার উপর একাধিক তারকাদের হাট আজকের ব্রিগেডে। প্রধান বক্তা নরেন্দ্র মোদী। উপছে পড়া ভিড়ের মাঝে, প্রধানমন্ত্রী এদিন মঞ্চে আসতেই মিঠুন চক্রবর্তী এদিন প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করে নেন। এত মানুষের সমাগম দেখে মোদী বলেন, হেলিকপ্টারে আসার সময় তিনি দেখেছেন শুধু ব্রিগেডের ময়দান নয়, আশপাশের মাঠও ভরে গিয়েছে। কাজেই, তিনি তাঁর এই সভাকে ঐতিহাসিক সভা বলে স্বীকার করেন।
৭ই মার্চ ব্রিগেডের সমাবেশের পর বাংলায় আরও সভা করবেন নরেন্দ্র মোদি। সূত্রের দাবি, রাজ্য জুড়ে মোদীর ২৫ থেকে ৩০টি সভা করতে চাইছে রাজ্য বিজেপি, তবে প্রধানমন্ত্রী এখনও পর্যন্ত ২০টি বড় সভার পরিকল্পনা করেছেন। একই সঙ্গে তৃণমূলের ‘খেলা হবে’ স্লোগানকে তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর সাফ হুঁশিয়ারি, ‘বাংলায় এবার তৃণমূলের খেলা শেষ হবে।’
বলাবাহুল্য, এদিনের সভা থেকে তৃণমূলকে বেশ কটাক্ষের শিকার হতে হবে তা সকলেরই জানা। আর সেই পরিকল্পনা মাফিক প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, "আসল পরিবর্তন মানে সবার অধিকার। যে অধিকারে বাধা দিয়েছে মমতা দিদির ক্যাডাররা। মমতা দিদির ওপরে ভরসা করেছিলেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু তাঁর ক্যাডাররা বিশ্বাস ভঙ্গ করেছে। বাংলা চায় উন্নতি, শান্তি, প্রগতিশীল বাংলা। বাংলা চায় সোনার বাংলা। আসল পরিবর্তন মানে শিক্ষা, আসল পরিবর্তন মানে চাকরি, আসল পরিবর্তন মানে লোকেরা রাজ্য থেকে কাজের জন্য অন্য রাজ্যে যাবে না, আসল পরিবর্তন মানে ব্যবসা ফুলে ফেঁপে উঠবে, আসল পরিবর্তন মানে বিনিয়োগ আসবে। আসল পরিবর্তন মানে অনুপ্রবেশ রোখা যাবে।"
এই মঞ্চ থেকেই একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি দেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর দাবি, "গরিব ঘরের ছেলেমেয়েদের ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মেডিক্যালে সুযোগ দিতে বাংলায় পড়াশোনা চালু করতে জোর দেওয়া হবে। কেন্দ্রের দেওয়া টাকা খরচ করতে পারেনি রাজ্য সরকার। তৃণমূল মা-মাটি মানুষের জন্য কাজ করতে চেয়েছিল। কিন্তু সেই পরিস্থিতিতে রাজ্যের মানুষ আরও গরিব হয়েছে। তবে বাংলা যা হারিয়েছে, তা ফেরাব আমি।"