পুলিশি লাঠিচার্জে মইদুলের মৃত্যু হয়নি, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মিলল প্রমাণ
আগে থেকেই মইদুলের হৃৎপিন্ড, ফুসফুস ও কিডনির মতোন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলি বিকল ছিল
বাম ছাত্র যুব সংগঠনের নবান্ন অভিযানে পুলিশ এলোপাথাড়ি লাঠিচার্জ করে, আর তাতেই বাঁকুড়ার কোতুলপুরের বাসিন্দা DYFI নেতা মইদুল ইসলাম মিদ্যা গুরুতর আহত হন। এরপরেই মৃত্যু হয় মইদুলের, পুলিশি লাঠিচার্জের অভিযোগ নিয়ে দলীয় নেতা মইদুল ইসলাম মিদ্যার মৃত্যুতে বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিল DYFI। এতেই চাপের মুখে পড়তে হয় কলকাতা পুলিশকে।
এরপরে নবান্ন থেকে নিহত DYFI কর্মীর পরিবারের এক সদস্যকে চাকরির দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তিনি আরও বলেছিলেন, সব মৃত্যুই বেদনাদায়ক। কাজেই, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই বোঝা যাবে মইদুলের মৃত্যুর আসল কারণ। এরপর কলকাতা পুলিশের মর্গেই চলে মইদুলের ময়নাতদন্ত, চলে ভিডিওগ্রাফি।
এরপরেই সোমবার ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট আসে। রিপোর্ট মোতাবেক, আগে থেকেই মইদুলের হৃৎপিন্ড, ফুসফুস ও কিডনির মতোন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলি বিকল ছিল। এছাড়াও হাঁটুতে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে, তবে এই আঘাত মৃত্যুর কারণ নয়।
লালবাজার গোয়েন্দা সূত্রে আরও খবর, মইদুলকে প্রথমে পার্ক স্ট্রিটের একটি বেসরকারী নার্সিংহোম এবং পরে শেক্সপিয়র সরণি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। আর এই নার্সিংহোমেই মৃত্যু হয় মইদুলের।