ভোট-পরবর্তী হিংসায় মৃত দেহ শনাক্ত অসম্ভব, DNA পরীক্ষার নির্দেশ হাইকোর্টের
কাঁকুড়গাছির মৃত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের দেহ শনাক্ত করতে DNA পরীক্ষা হবে
একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে (West Bengal Assembly Election) তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) বড় ব্যবধানে বিজেপিকে ভোট যুদ্ধে পরাজিত করেছিল। তবে নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই রাজ্যজুড়ে ভোট-পরবর্তী হিংসার ঘটনা বারংবার সামনে এসেছে। নির্বাচনের পর বিজেপির নেতা-নেত্রীরা বিভিন্নভাবে ভোট পরবর্তী হিংসার বিচার চেয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে গলায় সুর তুলেছিল। এবার কলকাতা হাইকোর্ট (Kolkata High Court) ভোট-পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violation) হামলায় নিহত কাঁকুড়গাছির বিজেপি (BJP) কর্মী অভিজিৎ সরকারের ডিএনএ (DNA) পরীক্ষার নির্দেশ দিল। তাঁর দাদার রক্তের নমুনা ইতিমধ্যেই সংগ্রহ করা হয়েছে। এরপর আগামী ২২ জুলাই কলকাতা হাইকোর্টে পরবর্তী শুনানি হবে।
ভোট-পরবর্তী হিংসায় মৃত অভিজিৎ সরকারের পরিবারের লোক দাবি করেছিলেন যে কাঁকুড়গাছির ওই বিজেপি কর্মীর ভোট-পরবর্তী হিংসায় মৃত্যু হলে কলকাতা হাইকোর্ট গত ২ জুলাই তাঁর দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশ অনুযায়ী ৫ জুলাই দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত হয়। তবে ততদিনে ওই কর্মীর দেহ প্রায় পুরোপুরি বিকৃত হয়ে গিয়েছে। তাই তাঁকে শনাক্ত করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এই দাবি আইনজীবীরা আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার হাইকোর্টে জানালে সবচেয়ে খতিয়ে দেখে বিচারপতি অভিজিৎ সরকারের ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দেয়। তাঁর দাদার রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেছে কলকাতার কমান্ড হাসপাতাল। এই নমুনা পাঠানো হবে সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে। পরীক্ষার ফল এলে চলতি মাসের ২২ তারিখ মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।