দরকার হলে হুইল চেয়ার করে প্রচার করব, হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর
দলীয় কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, "সকলকে শান্ত ও সংযত থাকুন। সাধারন মানুষের যেন কোনো অসুবিধা না হয়।"
বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভোটের উত্তাপে বাংলা। আর তার আগেই ভোটের মাঠেই চোট পেয়ে গুরুতর আহত হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।বুধবারই চোট পেয়ে নন্দীগ্রাম থেকে দ্রুত কলকাতা ফিরে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স রে করার পর জানা গিয়েছিল, তাঁর চোট বেশ গুরুতর। আর সে কারণেই গতকালই এসএসকেএমে কার্ডিওলজি, জেনারেল মেডিসিন, অর্থোপেডিক, এনড্রোক্রাইনোলজি এবং সার্জারি বিশেষজ্ঞ মিলে ৫ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড তৈরী করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসার জন্য।
তবে এদিন হাসপাতালের বেড থেকে স্পষ্ট বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর। দলীয় কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, "সকলকে শান্ত ও সংযত থাকুন। কাউর যেন কোনো অসুবিধা না হয়।" মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, "এটা ঠিক যে, কাল খুব জোরে লেগেছিল আমার। আমার হাতে-পায়ে চোট আছে। ইনজুরি আছে। লিগামেন্টে চোট আছে। কাল আমার মাথায় ও চেস্টে 'পেইন'ও হয়েছে। গাড়ি থেকে নমস্কার করছিলাম। তখন এত চাপ আসে যে, গাড়িটা যেন আমার গায়ের উপর চেপে যায়। সঙ্গে যা কিছু ওষুধ ছিল, সেগুলো খেয়েই কলকাতার দিকে রওনা হই। আমি সকলকে অনুরোধ করব, সংযত থাকুন, ভাল থাকুন, এমন কিছু করবেন না, যাতে মানুষের অসুবিধা হয়। আমি আশা করি, দু-তিনদিনের মধ্যেই নিজের ফিল্ডে ফিরে যাব। হয়তো পায়ের প্রবলেম থাকবে, কিন্তু আমি ম্যানেজ করে নেব।"
এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, কোনো মিটিং কিংবা প্রচারের কাজ নষ্ট হবে না। দরকার হলে তিনি হুইল চেয়ারে করেই প্রচার সারবেন।
উল্লেখ্য, গতকাল এ বিষয়ে তৃণমূলনেত্রী অভিযোগ করেছিলেন, "আমি গাড়ির কাছে দাঁড়িয়ে নমস্কার করছিলাম। তখন চার-পাঁচজন লোক আচমকা দরজা বন্ধ করে দেয়। পা পুরো আটকে গিয়েছিল। পা পুরো ফুলে গিয়েছে। অনেক মানুষ ছিলেন। কিন্তু তাঁরা করেননি। এটা চক্রান্ত তো বটেই। পুলিশ সুপার ছিলেন না। সারাদিন অনুষ্ঠান করলাম। আমার বুকে ব্যথা হচ্ছে।"