হাত ভাঙার চিকিৎসায় ঘুরতে হল পাঁচ হাসপাতাল !
২৬ ঘন্টা পর শুরু হল চিকিৎসা
আবারো রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর ক্ষোভে ফেটে পড়ল রোগীর পরিবার। প্রায় ছাব্বিশ ঘন্টা ধরে পাঁচটি সরকারি হাসপাতালের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও সুরাহা মিললনা অসহায় বালকের হাত ভাঙ্গার চিকিৎসা। কখনো বেডের অভাব, আবার কখনো পরিকাঠামোর অব্যবস্থাতে হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে রেফার হতে হতেই দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হয় বলে অভিযোগ করেন চোট পাওয়া অষ্টম শ্রেণীর ওই বালকের পরিবার। বর্তমানে আরজিকরের ট্রমা কেয়ার ডিপার্টমেন্টে চিকিৎসাধীন বীরভূমের ওই বালক।
পিসেমশাইএর সাথে গোরুর গাড়িতে চেপে বাড়ি থেকে কিছু দূরে ধান দিত যায় ওই বালক। ফেরার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গোরুর গাড়িটি উল্টে গেলে ছিটকে পড়ে ছেলেটি এবং পার্শ্ববর্তী ধান ঝাড়াইয়ের চলন্ত মেশিনের ভেতর হাত ঢুকে তার কনুইয়ের নীচের অংশ থেঁতলে যায়। হাড় ও মাংসপেশি ছিন্নবিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছেলেকে নিয়ে প্রথমে মুরারি গ্রামীণ হাসপাতালে যান বাবা। সেখান থেকে তাকে রামপুরহাট হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে শুধু প্লাস্টার করে তাকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়। কিছু ইঞ্জেকশন ও ওষুধ দিয়ে তাদের পিজিতে পাঠানো হয়। জরুরী বিভাগে কিছুক্ষণ রেখে বেড নেই বলে দাবি করেন তারা। এরপর এনআরএসে নিয়ে গেলে ওখানে কিছু করা যাবেনা বলে আবার পিজিতেই পাঠিয়ে দেয় তারা। পিজিতে ফিরে এসে স্ট্রেচারে শুইয়ে রাখলেও কোনো চিকিৎসা শুরু করেনি তারা। অবশেষে ছেলেকে নিয়ে আরজিকর মেডিক্যাল কলেজে যায় পরিবার। সেখানেও প্রথমে পরিকাঠামোর অভাব বলে আবার পিজিতে পাঠাতে চাইলেও পরে ট্রমা কেয়ারে ভর্তি নেন তারা। অর্থোপেডিক ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ যৌথভাবে অস্ত্রোপচার করে তার। যন্ত্রনায় ছটফট করা ছেলের চিকিৎসা শুরুর আগেই গাড়িভাড়া আর সময়ের হিসাব ব্যয়ে অসহায় পরিবার। কোনো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকেই এখনও কোনো সদুত্তর মেলেনি।