বিধানসভা ভোটে নিষিদ্ধ সিভিক পুলিশ; উস্কানিমূলক বক্তৃতা, পেশী শক্তি বরদাস্ত করবেনা নির্বাচন কমিশন : হুঁশিয়ারি মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা'র
বিহার নির্বাচনের উদাহরণ মাথায় রেখেই রাজ্যে ভোটপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে : সুনীল আরোরা
ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই অশান্ত হয়ে উঠছে পশ্চিমবঙ্গ। খুনোখুনি, রাজনৈতিক দলগুলিতে অন্তর্দ্বন্দ্ব, সঙ্ঘর্ষের ঘটনা ঘটছে প্রায়শই। বিধানসভা নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলায় কোনও রকমের গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না, ভোটপ্রক্রিয়ার কাজে কাজে লাগানো যাবে না গ্রিন পুলিশ বা সিভিক ভলান্টিয়ারও। করা যাবে না বাইক মিছিলও। এদিন এমনই কড়া বার্তা দিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা।
ভোটে পেশী শক্তি, অর্থের জোরে দুষ্কর্ম বা প্রশাসনিক ক্ষমতার অপব্যবহার কোনওভাবেই সহ্য করবে না নির্বাচন কমিশন। এদিন কলকাতায় সাংবাদিক সম্মেলন থেকে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা।
তিনি এদিন বলেন, "উস্কানিমূলক বক্তৃতা, পেশী শক্তি ও অর্থের অপব্যবহারের কিছু ঘটনা আমাদের নজরে আনা হয়েছে। ভোটে পেশী শক্তি, অর্থের জোরে দুষ্কর্ম বা প্রশাসনিক ক্ষমতার অপব্যবহার সহ্য করবে না নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনারের ব্যয় পর্যবেক্ষক অর্থের ক্ষমতার অপব্যবহার রুখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে।"
করোনার আবহেই চলবে বিধানসভা নির্বাচন। ফলে এক দিকে যেমন আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দিকে কড়া নজর রাখতে হচ্ছে, অন্য দিকে তেমনই নির্বাচনের সময় করোনার সংক্রমণ যাতে বৃদ্ধি না পায়, সে বিষয়টিও গুরুত্ব দিতে হচ্ছে। কাজেই, বিহার নির্বাচনের উদাহরণ মাথায় রেখেই রাজ্যে ভোটপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে বলে দাবি করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা।
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা এদিন আরও জানান, "রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। তাঁদের বেশিরভাগই রাজ্যে আইন–শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, ভোটের দিনক্ষণ এগিয়ে আসার সঙ্গে রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা বাড়তে পারে। যার জেরে নির্বাচনী প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাঁরা রাজ্যে দ্রুত কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী মোতায়েনের দাবি করেছেন। কিছু রাজনৈতিক দল ভোটার তালিকায় অসঙ্গতির কথাও উল্লেখ করেছে।"