কলকাতা হাইকোর্টে ফের পিছিয়ে গেল নন্দীগ্রাম মামলার শুনানি
আগামী ১ ডিসেম্বর হবে পরবর্তী শুনানি
নন্দীগ্রামে (Nandigram) ভোটগননায় কারচুপির অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা দায়ের করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তবে আরও একবারের জন্য সেই মামলার শুনানির (Hearing) দিন পিছল কলকাতা উচ্চ আদালত। আগামী ১ ডিসেম্বর হবে এই মামলার পরবর্তী শুনানি। যদিও তার আগেই ২৯ নভেম্বরের মধ্যে উভয় পক্ষকেই লিখিত ‘মিনিট’ জমা দিতে হবে, এমনটাই নির্দেশ আদালতের। পাশাপাশি নন্দীগ্রাম মামলাটি অন্য রাজ্যে স্থানান্তকরনের জন্য সুপ্রিম কোর্টেও (Supreme Court) শুনানি স্থগিত ছিল এদিন।
নন্দীগ্রাম মামলা নিয়ে জলঘোলা চলছে আপাদমস্তক। মে মাসে বিধানসভা ভোটের ফলাফলে নন্দীগ্রাম কেন্দ্র থেকে প্রথমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এগিয়ে থাকলেও শেষপর্যন্ত সামান্য কয়েকটি ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আর এই ঘটনার পরেই ভোট গননায় কারচুপির অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মুখ্যমন্ত্রী। জুন মাসে প্রথমবারের জন্য মামলাটি হাইকোর্টে ওঠে। প্রাথমিকভাবে বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হয়। তবে বিচারপতিকে রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট বলে মামলাটি অন্য বিচারপতির বেঞ্চে সরাতে আর্জি করে তৃণমূল (Trinamul Congress) পক্ষ। মামলা থেকে সরে দাঁড়ান কৌশিক। সে জায়গায় মামলাটি স্থানান্তরিত হয় বিচারক শম্পা সরকারের বেঞ্চে। সেখানেই এখনও পর্যন্ত মামলার শুনানি চলছে।
যদিও এর মধ্যেই মামলায় বিচারকের বেঞ্চ বদল নিয়ে আপত্তি তোলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এবং মামলার বিবাদী শুভেন্দু। অনাস্থা প্রকাশ করে মামলাটি অন্য কোনও রাজ্যে স্থানান্তকরনের জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। সেই পরিস্থিতিতে তিন মাসের জন্য হাইকোর্টের মামলার শুনানি মুলতুবি করেন শম্পা সরকার। সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় আজ আবার সেই মামলা হাইকোর্টে ওঠে।
পাশাপাশি একই দিনে সুপ্রিম কোর্টেও ওঠে স্থানান্তকরনের মামলাটি। তবে আজ সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতি উপস্থিত না থাকার কারনে সেই মামলার শুনানি হয়নি। অন্যদিকে আজ হাইকোর্টেও কিছুটা সময় চেয়ে নেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে শুভেন্দুর আর্জির বিরোধিতা করেন আদালতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে সওয়াল করা অ্যাডভোকেট জেনারেল (Advocate General) সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “অনেক সময় হয়েছে। আজ সুপ্রিম কোর্টেও স্থানান্তকরন মামলার শুনানি হয়নি। তাই হাইকোর্টে মূল আবেদনের শুনানি হতেই পারে। তাহলে কেন বারবার এতো সময় দেওয়া হচ্ছে?” এদিন হাইকোর্টে মামলার শুনানি হয়। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, মামলার পরবর্তী শুনানি ১ ডিসেম্বর।