‘বাবুল প্রথম বিশ্বাসঘাতক নয়, শেষও নয়…’ টুইটে কটাক্ষ তথাগতর
টুইটে কার্যত 'দলবদলু'দের বিঁধলেন তিনি
বিতর্কিত টুইট এবং তথাগত রায় একে অপরের সমার্থক শব্দ। আর সেই তথাগতই কিনা বাবুলের ‘দলবদলে’ চুপচাপ হাত গুটিয়ে বসে থাকবেন, তা কীকরে হয়? তাই ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে তৃণমূলের দলীয় পতাকা হাতে তুলে নেওয়ার পরেই বাবুলের দিকে ধেয়ে এলো তথাগতর টুইট বাণ। তবে টুইটে শুধু বাবুলকেই নয়, আরও সদ্য ‘দলবদলু’দেরও পরোক্ষে বিঁধলেন তিনি।
টুইটে তথাগতবাবু লিখেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ বিজেপিকে বিপদে ফেলেছে বিশ্বাসঘাতকরা। বেচারা বাবুল সুপ্রিয়র উপর রাগ করে আর কি হবে? ও তো প্রথম বিশ্বাসঘাতক নয়! শেষও নয়’। তাঁর এই টুইটে বিশ্বাসঘাতক বলতে যে তথাগতবাবু কাদের বোঝাতে চাইছেন তা সরাসরি না বললেও রাজনীতিপ্রিয় বাঙালীদের বুঝে নিতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। তবে এর মাঝেও টুইটে আশার আলো দেখিয়েছেন মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল। তিনি লিখেছেন, ‘মতাদর্শ চিরন্তন। ব্যক্তিপূজা কখনো মতাদর্শকে হারাতে পারবে না। বিপদ কেটে যাবে’। দলবদলের হিড়িকে তাঁর এই টুইট যে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ, তা মনে করছেন রাজনীতিবিদদের একাংশ।
এদিকে বাবুলের বিজেপি ছাড়া এবং তৃণমূলে যোগদান নিয়ে সম্পূর্ণ বিপরীত প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে আরও এক বিজেপি নেতা স্বপন দাশগুপ্তের কাছ থেকে। তিনি টুইটে জানান, ‘আমি ভবিষ্যতের কথা বলতে পারব না, তবে বাবুল সুপ্রিয় বিজেপির সম্পদ ছিলেন এবং আমি ব্যক্তিগতভাবে তাঁকে তাঁর দলের প্রতি কাজের জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই’। সাথে তাঁর সংযুক্তি, ‘আমাদের মতো যাঁদের জন্য বিজেপি আজীবন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তাঁদের লড়াই চলবে। এমনকি প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও আমরা সেই লড়াই চালিয়ে যাব’।
প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচন মেটার পর থেকেই শুরু হয়েছে বিজেপি থেকে তৃণমূলে ‘ঘরওয়াপাসি’। ‘আসোল পরিবর্তনের’ স্বপ্ন নিয়ে যারা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপির হাত ধরেছিলেন, তাঁরাই আবার বিজেপিতে নিশ্বাস না নিতে পেরে ফের তৃণমূলমুখী হয়েছেন। ভোটের পরেই মুকুল রায়কে দিয়ে শুরু বিজেপির ভাঙন। তারপর আরও চার বিজেপি বিধায়ক নাম লেখান তৃণমূল শিবিরে। বুথ স্তরে ভাঙন তো চলছিলই। এবার তারই মাঝে বিজেপির সাংসদ এবং রাজ্য বিজেপির আদি সদস্যের এহেন দলবদলে যে যথেষ্ট অস্বস্তিতে বাংলার প্রধান ‘বিরোধীপক্ষ’ তা বলার অপেক্ষা রাখে না।