২০ টি ধারাবাহিকের শুটিংয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করল ফেডারেশন, অসন্তুষ্ট কলাকুশলীরা
মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করছে আর্টিস্ট ফোরাম
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবান্নের ঘোষণা অনুযায়ী বুধবার থেকে ৫০ জনকে নিয়ে শুরু হয়েছিল ধারাবাহিকগুলির শুটিং। ফের একবার বাধ সাধল ফেডারেশন। কলাকুশলী ও ভেন্ডারদের শুটিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাঠানো বন্ধ করেছে ফেডারেশন। রীতিমতো ধমক দিয়ে কাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন তারা। এর জেরে আপাতত 'খড়কুটো', 'শ্রীময়ী', 'কৃষ্ণকলি' সহ কুড়িটি ধারাবাহিকের ভবিষ্যত অনির্দিষ্টকালের জন্য অনিশ্চয়তার মুখে।
করোনার কারণে এতদিন মেগা ধারাবাহিকগুলোর শুটিং চলছিল বাড়ি থেকেই। তবে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আবার শুটিং ফ্লোরে ফেরেন কলাকুশলীরা। যদিও ফেডারেশনের বারণ ছিল তখনো, তবে তা মান্য হয়নি। তাই এবার শুটিং ফ্লোরে ফিরলে তাদের রোষের কোপে পড়ে ২০ টি জনপ্রিয় ধারাবাহিক। ফেডারেশনের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, নতুন চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনও টেকনিশিয়ান নির্দিষ্ট ২০টি ধারাবাহিকে কাজ করতে পারবেন না।বুধবার বিকেলে এই সমস্যার সমাধানে প্রযোজক, বিভিন্ন চ্যানেলের কর্তা এবং আর্টিস্ট ফোরামের যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন বসে। ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন প্রোডিউসর্স-এর সভাপতি শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, "কাজ বন্ধ থাকলে গোটা ইন্ডাস্ট্রিরই ক্ষতি হচ্ছে। তাও কেন ফেডারেশন কাজ বন্ধ করে দিল, তা বোঝা যাচ্ছে না।" তাই এই অচলাবস্থা কাটাতে এবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তারা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই ধারাবাহিকগুলোর মধ্যে রয়েছে, 'কৃষ্ণকলি', 'তিতলি', 'অপরাজিতা অপু', 'গ্রামের রাণী বীণাপাণি', 'বরণ', 'খেলাঘর', 'যমুনা ঢাকি', 'গঙ্গারাম', 'জীবন সাথী', 'মিঠাই', 'সাঁঝের বাতি', 'খড়কুটো', 'শ্রীময়ী', 'মোহর', 'দেশের মাটি', 'রিমলি', 'ওগো নিরুপমা', 'ফেলনা', 'কি করে বলবো তোমায়', 'ধ্রুবতারা' প্রভৃতি।