রাজ্যের নেতিয়ে থাকা শিক্ষা ব্যবস্থার পুনর্জন্ম হতে পারে, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
বিশিষ্ট পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, উপাচার্যদের অনুষ্ঠানে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে নানান পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী
কেরালার পাঁচটি বিশিষ্ট খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়, তথা কোচিন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, এপিজে আবদুল কালাম টেকনোলজিকাল বিশ্ববিদ্যালয়, কেরালা স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় উন্নত আইনী বিশ্ববিদ্যালয়, এবং কেরালা মৎস্য ও মহাসাগর বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় দুশো'র বেশি শিক্ষার্থী একটি অনুষ্ঠানে যোগদান করে। যেই অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কেরালার বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ কে টি জালীল, যিনি উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী'র পদে আছেন।
আর এই অনুষ্ঠানেই কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলেন, উচ্চতর শিক্ষাক্ষেত্রে আগ্রহীদের গবেষণা ও চাকরির সম্ভাবনা আরও উন্নত করার লক্ষ্যে রাজ্যে আরও গবেষণাগার এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কোর্সের ব্যবস্থা করার দায়িত্ব নিতে হবে কেন্দ্রকে।
শিক্ষাক্ষেত্রে নিজেদের দেশের কিছুটা পিছিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে তিনি বলেন, ঠিক কোন খাতে পিছিয়ে গিয়েছে কেরালা, তা দেখভাল করে তা ঠিক করতে হবে। এবং একাডেমিক ও ইনফ্রা সুবিধাগুলি বাড়িয়ে তুলতে হবে।
উপাচার্যদের সাথে বৈঠকের মাঝেই মুখ্যমন্ত্রী তাঁদেরকে স্মরণ করিয়ে দেন, 'একবার খ্যাতনামা প্রথম সারির ইন্ডাস্ট্রির মাথারা কেরালায় ইন্টারভিউ'র ব্যবস্থা করেছিলেন, তাঁদের কোম্পানিতে কর্মী নিয়োগের জন্য। তবে তাঁদের চাহিদা অনুযায়ী রাজ্য থেকে কর্মী নিয়োগ করতে তাঁরা ব্যর্থ হন। কাজেই, রাজ্যের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন কোর্সের সাথে পরিচিত হওয়া উচিত এবং সেই মতোনই ব্যবস্থা করা উচিত। বেসিক কোর্স এবং সমাজবিজ্ঞানের দিকেও নজরদারির সাথেই বাইরে থেকে আগত শিক্ষার্থীদেরকেও এ বিষয়ে শিক্ষা দিতে হবে। উচ্চতর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গ্রন্থাগারগুলিতে ছাত্র সম্প্রদায়ের জন্য আন্তর্জাতিক জার্নাল এবং সম্পর্কিত সংস্থান সরবরাহ করতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে কাজ পেতে ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাশ না হতে হয়।'