"দিদিকে প্রধানমন্ত্রী করতে হবে", ঘাটালে জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শন করতে গিয়ে মন্তব্য দেবের
১৯৮২ সালে সুপারিশ হলেও কেন্দ্র এখনও কাজ শুরু করেনি ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানে
চলতি সপ্তাহের শুরুর দিক থেকেই একনাগাড়ে বৃষ্টিপাত চলছে। আবহাওয়া দপ্তর অনুযায়ী বেশ কয়েক বছরের মধ্যে রেকর্ড পরিমান বৃষ্টি হয়েছে এই কয়েকদিনে। রাজ্যের একাধিক এলাকা বন্যাবিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে এবং গ্রামবাসীরা বাধ্য হয়ে ত্রাণশিবিরে গিয়ে দিন কাটাচ্ছে। তার ওপর বৃষ্টির সাথে দোসর হিসেবে ডিভিসি জল ছেড়ে দেওয়ায় দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা জলের তলায় ডুবে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) গত সোমবার বৈঠক করে দলের সাংসদ বিধায়কদের নিজের এলাকায় গিয়ে বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেইমতো আজ অর্থাৎ বুধবার তৃণমূল সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে অভিনেতা দেব (Dev) নিজ এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গিয়েছিলেন। সেখানেই তিনি কার্যত কেন্দ্রকে তুলোধোনা করে বলেছেন, "ভোটের আগে এসে অনেক বড় বড় কথা বলে গিয়েছিলেন। বাংলাকে সোনার বাংলা বানাবেন, এই করবেন, ওই করবেন, সেই করবেন। কিন্তু ভোটের পর তাঁদের হদিশ মিলছে না। এতবার চিঠি দেওয়ার পর ঘুম ভাঙেনি কেন্দ্রের। শুধুমাত্র বড় বড় কথা বলে চলে যায়।"
আসলে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল, কেশপুর, চন্দ্রকোনা সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে প্রত্যেক বছর শিলাবতী নদীর কারণে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। তাই ১৯৮২ সালে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের সুপারিশ করা হয়। সাংসদ হওয়ার পর দেব নিজেও বারংবার এই প্ল্যান রূপায়ণের জন্য সংসদে সওয়াল করেছেন। কিন্তু এত বছর কেটে যাওয়ার পরও কেন্দ্রের তরফে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানে কাজ শুরু করার কোনরকম উদ্যোগ দেখা যায়নি।
বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করতে গিয়ে আজ দেব বলেছেন, "সাধারণত আমি কারোর বিরুদ্ধে কথা বলি না। কিন্তু আজ বলতে বাধ্য হচ্ছি। দিদি যতদিন না প্রধানমন্ত্রী হবেন ততদিন ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান রূপায়নের কোনো সম্ভাবনা নেই। দিদিকে প্রধানমন্ত্রী করতে হবে। না হলে কেন্দ্রে যে সরকারই থাকুক, বিশেষ করে আজকের সরকার থাকলে, ঘাটালের মানুষের দুর্দশা কোনোদিন ঘুচবে না।" প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত দু'দিন ধরে ঘাটাল চন্দ্রকোনা সড়কটি জলমগ্ন অবস্থায় রয়েছে। পানীয় জলের সংকট দেখা দিয়েছে সব জায়গায়। বহু মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের।