বিক্রি না হওয়া লটারির টিকিট থেকেই রাতারাতি কোটিপতি মালদার লটারি বিক্রেতা
অভাবের সংসারে সামাল দিতে চা বিক্রির পাশাপাশি লটারির টিকিটও বিক্রি করতেন তিনি
মালদার কুশিদা হাটখোলা গ্রামের কমল মহলদার। অভাবের সংসারে চা বিক্রি করে সংসার না টানতে পারায় একপ্রকার বাধ্য হয়েই লটারির টিকিটের ব্যবসায় নামতে হয় তাঁকে। তবে কার ভাগ্যলক্ষ্মী কখন সহায় হন, তা কেবল ভগবানই জানেন। আর তেমনটাই হল বছর পঁয়ত্রিশেকের কমলবাবুর সঙ্গেও। টিকিট বিক্রি করে নয়, অবিক্রিত টিকিট থেকেই রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গেলেন চা কাম লটারির টিকিট বিক্রেতা কমল মহলদার।
নিত্য দারিদ্রের মুখ দেখা কমলবাবু কিছু লাভের আশায় চা বিক্রির পাশাপাশি করতেন লটারির টিকিটের ব্যবসাও। তবে সোমবার তাঁর কাছে রয়ে যায় ১২০ টাকার অবিক্রিত টিকিট। আর সেই অবিক্রিত টিকিটেই বাজিমাত। সন্ধ্যাবেলায় তিনি জানতে পারেন তাঁর অবিক্রিত টিকিটগুলির মধ্যে থেকেই একটি টিকিট জিতেছে এক কোটি টাকা।
শুরুতে নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারেননি ভদ্রলোক। তবে বারবার টিকিটের নাম্বার মিলিয়ে তিনি নিশ্চিত হন, ১ কোটি টাকার বিজেতা তিনিই। এরপর আর কোনও কথা নয়। টিকিট হাতে নিয়ে কমলবাবু সোজা হাজির হরিশ্চন্দ্রপুর থানায়।
কমল মহলদারের সংসারে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী, দুই সন্তান, বৃদ্ধ বাবা-মা। অনটনের সংসারে হাল ধরতে তাঁর মা-ও উপার্জন করেন। কুশিদা বাজারে সবজি বিক্রি করেন তিনি। তবে এই পরিস্থিতিতে এমনভাবে আচমকা লক্ষ্মীলাভ হবে, সে কথা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি কমলবাবু। রাতারাতি কোটিপতি হয়ে বেজায় খুশি তিনি। তবে এতো টাকা খরচ করবেন কোথায়? উত্তরে কমলবাবু জানান, আপাতত যা টাকা পাবেন তা দুই সন্তানের ভালো শিক্ষার পিছনে খরচ করবেন তিনি।