নির্বাচনের মধ্যেই রাজনৈতিক হিংসা, এবার গুরুতর জখম হাওড়ার শিবপুরের বাসিন্দা
মুর্শিদাবাদে রাজনৈতিক হিংসার বলি ১
রাজ্য জুড়ে ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত। এবার হাওড়ার শিবপুরের ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে খবর, শিবপুর ৫ নম্বর গেটের কাছে গুলিবিদ্ধ হন এক ব্যক্তি। আচমকা গুলির শব্দ পেয়ে বেরিয়ে আসেন এলাকাবাসী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহত ব্যক্তিকে একটি স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শিবপুর বি গার্ডেন থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত ১০ টা নাগাদ অরূপ মাহাতো নামে এক বছর ৩৭ ব্যক্তি রাস্তা দিয়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। আচমকাই ২-৩ জন দুষ্কৃতী বাইকে এসে গুলি চালিয়ে চম্পট দেয়। আহত ব্যক্তির পেটে এবং চোখে গুলি লাগে বলে খবর। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে বি গার্ডেন থানার পুলিশ। আশঙ্কাজনক ব্যক্তি তৃণমূল সমর্থক বলে পরিচিত। এই ঘটনার পর এলাকার তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা বিক্ষোভ শুরু করে। দুটি লরি এবং একটি বাইক পুড়িয়ে দেওয়া হয় বলে খবর।
অন্যদিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ফের উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ। এক তৃণমূল কর্মীর গলা কেটে খুনের অভিযোগ উঠেছে বিজেপি ও কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। অষ্টম দফায় মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ায় ভোটগ্রহণ। তার আগে সোমবার রাতে রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ওই এলাকা। হরিহরপাড়া বিধানসভার অন্তর্গত বিলধারীপাড়ার ঘোষালপুর এলাকায় তৃণমূল ও কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। বোমাবাজি ও গুলি চলতে থাকে উভয়পক্ষের মধ্যে। সংঘর্ষের জেরে এক কংগ্রেস কর্মীর মৃত্যু হয়। নাম কাশেম আলি। জখম হন দু’ পক্ষের অন্তত ১০ জন। এই নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছিলই। মঙ্গলবার রাতে ফের বোমাবাজি শুরু হয় হরিহরপাড়া এলাকায়। দীর্ঘক্ষণ পর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হতেই স্থানীয়রা বেরিয়ে দেখেন রাস্তায় পড়ে রয়েছে বাদল ঘোষ নামে এলাকারই এক যুবকের রক্তাক্ত দেহ। তৃণমূল কর্মী হিসেবে এলাকায় পরিচিত ওই যুবকের ঘাড়ে ছিল গভীর ক্ষত। বোমায় ঝলসে গিয়েছিল শরীরের একাধিক অংশ। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।