স্যালাইনের চ্যানেল হাতে নর্দমার পাশে পড়ে রোগী, গাফিলতির অভিযোগ হাসপাতালের বিরুদ্ধে
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ
পেটের ব্যাথা (stomach pain) নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে (hospital)। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁকে দেখা গেল হাতে স্যালাইনের (saline) চ্যানেল থাকা অবস্থাতেই পড়ে রয়েছেন হাসপাতালের নর্দমার পাশে। ‘বাঁচাও…বাঁচাও’ বলে করছেন চিৎকার। বুধবার রাতে এমনই ঘটনার সাক্ষী রইল উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হসপিটাল (uttarpara state general hospital)। যদিও রোগী (patient) অভিযোগ করেছেন, হাসপাতাল থেকে তাঁকে ফেলে দেওয়া হয়েছে, তবে তাঁর অভিযোগ অস্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ (hospital authority)।
বালির বাসিন্দা এক প্রত্যক্ষদর্শীর (eye witness) কথায়, গতকাল রাতে এক পরিচিতের মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনি উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে যান। তবে হাসপাতালে ঢোকার সময় তিনি একজনের আর্তচিৎকার শুনতে পান। আওয়াজ শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনি দেখেন, এক ব্যক্তি হাসপাতালের ধারের নর্দমায় (drain) পড়ে রয়েছেন। তাঁর হাতে স্যালাইনের চ্যানেল করা রয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, আহত ব্যক্তিটি বলেন, ‘তাঁকে উপর থেকে তলায় ফেলে দেওয়া হয়েছে’। এর পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে খবর দিলে তাঁকে পুনরায় পুরুষ ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়।
এবিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঐ রোগীকে কেউ ফেলে দেয়নি। তবে তিনি কিভাবে হাসপাতালের পাশে ড্রেনে গিয়ে পড়লেন সে বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এর মাঝেই রোগী কল্যান সমিতির সদস্য ইন্দ্রজিৎ ঘোষ বলেছেন, ‘এমন ঘটনা ঘটে থাকলে তা ঠিক হয়নি। হাসপাতালের বাইরে সিসি ক্যামেরা (cc tv) লাগানো আছে। যাতে নজরদারি করা যায়। সাথে তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে এবিষয়ে কথা বলবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন। পাশাপাশি ঐ রোগী মত্ত (drunk) অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন কিনা, সে বিষয়ে খতিয়ে দেখছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
জানা গিয়েছে, অভিযোগকারী রোগীর নাম যদু দাস। তাঁর বাড়ি উত্তরপাড়ার মাখলায় (makhla)। গতকাল রাত্রে পেটে অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে তিনি ভর্তি হন উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। এবিষয়ে যদুবাবুর ছেলে বলেছেন, গতকাল রাত্রে তাঁর বাবাকে ভর্তি করা হয়। ৯ টা নাগাদ তাঁরা রাতের খাবারও দিয়ে আসেন। তবে এমন ঘটনা কিভাবে ঘটল তা তাঁরা বুঝে উঠতে পারছেন না। সাথে তিনি অভিযোগ করেছেন, তাঁর বাবার শরীর খারাপ থাকা সত্ত্বেও তাঁকে বন্ডে (bond) সই করিয়ে ছুটি দিয়ে দেয় হাসপাতাল।
এদিকে বৃহস্পতিবার যদু দাসের বাড়িতে দেখা করতে যান উত্তরপাড়া পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর তথা পুর প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য খোকন মণ্ডল। রোগীর পরিবারের সাথে কথা বলে তিনি জানান, রোগীর পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে জোর করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তা যদি সত্যই হয়ে থাকে তাহলে হাসপাতাল সেটা ঠিক করেনি।