আগে পূর্ব মেদিনীপুরে আসতে হলে অনুমতি নিতে হতো, এখন আমি স্বাধীন, পটাশপুরে দাঁড়িয়ে বললেন মমতা
১লা এপ্রিলের প্রস্তুতি সারতে পূর্ব মেদিনীপুরে ম্যারাথন সভা মমতার
কিছুদিন আগে পর্যন্ত দুইজন ছিলেন একেবারে সহযোদ্ধা। কিন্তু এখন দুজনে একে অপরের চরম প্রতিদ্বন্দ্বী। দুজনের মধ্যে এখন সম্পর্ক একেবারে আদায় কাঁচকলায়। তারই মধ্যে এবারে নন্দীগ্রামে সভায় গিয়ে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও এই সভায় তিনি শুভেন্দু অধিকারীর নাম মুখে আনেননি। কিন্তু তাকে উদ্দেশ্য করে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, এতদিন পর্যন্ত নন্দীগ্রামে ঢুকতে হলে 'নির্দিষ্ট মানুষের' অনুমতি ছাড়া ঢোকা যেত না। কিন্তু এবার থেকে আমি একেবারে স্বাধীন। মাঝে মধ্যেই এবারে আসতে পারবো নন্দীগ্রামে। তবে এই নির্দিষ্ট মানুষ কথাটি বলে শুভেন্দু কে কটাক্ষ করেছেন মমতা, সেটা একেবারে স্পষ্ট।
শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুরে পরপর ৩টি সভা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। পটাশপুরের সভায় গিয়ে তিনি বলেন, " আগে একজনের অনুমতি ছাড়া এই পূর্ব মেদিনীপুরে আসা যেত না।আসার আগে জিজ্ঞেস করতে হতো, এগ্রায় যাবো? ভগবানপুরে যাবো? তমলুকে যাবো? হলদিয়ায় যাবো? এই জেলার সম্পূর্ন ভার ছিল এখন মানুষের হাতে। আমাকে আসতে দেওয়া হতো না। পাশাপাশি, এখানে আর কারো কিছু চলত না। তবে আজকে আমি স্বাধীন। তাই আমি যেখানে ইচ্ছা যেতে পারি।" এছাড়াও শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, ২০১৪ সাল থেকেই তার বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক। সেই প্রসঙ্গে এতদিন পর্যন্ত মমতা কিছু না বললেও, আজকে জানান, "এত অন্ধ স্নেহ দিলাম যাকে, সেই শেষে হলো ঘরশত্রু বিভীষণ। এরাই শেষে গদ্দারি করলো। গদ্দার যারা আছেন, তারা গদ্দারি করবেন। এতদিন ধরে বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক। আর আমাকে কিছু জানায়নি। আমিও কিছু বুঝতে পারিনি। আপনারা আমাকে ক্ষমা করবেন।"