বাংলাকে পাঁচ ভাগে ভাগ করে কোমর বেঁধে নামলো বিজেপি— ৩০ নভেম্বর রাজ্যে আবার অমিত শাহ?
মঙ্গলবার বিজেপির হেস্টিংস অফিসে হওয়া মিটিংয়ে উঠে এলো একাধিক বিষয়
রাজ্যে যেকোনো উপায়ে তৃণমূলকে উৎখাত করতে মরিয়া বিজেপি। তাই উৎসবের আমেজ কাটতে না কাটতেই ভোটের প্রস্তুতিতে ময়দানে নেমে পড়লো তারা। মঙ্গলবার হেস্টিংসের অফিসে ঠিক হলো ভোটের লড়াইয়ের ব্লুপ্রিন্ট। এই বৈঠকে মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা, লকেট চট্টোপাধ্যায়, অনুপম হাজরাদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় সহ সুনীল দেওধর, অমিত মালব্য, অরবিন্দ মেনন প্রমুখরা।
রাজ্যে বিজেপি সংগঠনের জোর বাড়াতে এবং তৃণমূল স্তর পর্যন্ত সকলের সাথে বিজেপির সেতুবন্ধন তৈরির উদ্দেশ্যে রাজ্যকে পাঁচটি জোনে ভাগ করা হলো। উত্তরবঙ্গ, নবদ্বীপ, রাঢ়বঙ্গ, মেদিনীপুর ও কলকাতা এই পাঁচটি জোনের দায়িত্ব পেলেন পাঁচ কেন্দ্রীয় নেতা। মেদিনীপুর জোনের দায়িত্বে সুনীল দেওধর। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই সুনীল দেওধরের নেতৃত্বেই ত্রিপুরায় বামেদের সরিয়ে ক্ষমতায় আসে বিজেপি। রাঢ়বঙ্গ জোনের দায়িত্বে বিজেপি SC মোর্চার সভাপতি বিনোদ সোনকর। কলকাতা জোনে হরিয়ানার নেতা দুষ্মন্ত কুমার গৌতম। নবদ্বীপ জোনের দায়িত্ব পেলেন বিনোদ তাওড়ে এবং উত্তরবঙ্গ জোনের দায়িত্বে হরিশ দ্বিবেদী।
জোনের দায়িত্বে থাকা নেতারা কাল থেকে ২০ তারিখ পর্যন্ত নিজেদের জোনের নেতাদের সাথে মিটিং করে একটি রিপোর্ট তৈরি করবেন। সেই রিপোর্ট পাঠানো হবে দিল্লিতে। তার ভিত্তিতেই খুব সম্ভবত আগামী ৩০ নভেম্বর আবার রাজ্য সফরে আসতে চলেছেন অমিত শাহ।
এছাড়াও এই বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাজ্যে সোশ্যাল মিডিয়া এবং সংবাদমাধ্যমে প্রচারের দায়িত্ব পেলেন দলের আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। এছাড়াও আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত এলাকা ধরে ধরে দলের কর্মসূচীও ঠিক হয়েছে এদিনের বৈঠকে।