অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি, নষ্ট গর্ভস্থ সন্তান, অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে
হাওড়ার লিলুয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য, গ্রেফতার দুই
কলকাতার পর এবার হাওড়া (Howrah)। ফের অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি মারার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। এমন পাশবিক অত্যাচারের ফলে মহিলার গর্ভস্থ সন্তানের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিবাদের জেরেই এই ঘটনা, তেমনটাই অভিযোগ করছেন একাংশ। যদিও এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোন সম্পর্ক নেই, দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের।
ঘটনাটি হাওড়ার লিলুয়ার ভট্টনগরের। ঘটনাটি দিন দশেক আগের। সেদিন স্থানীয় রামচরণ রায়ের সঙ্গে প্রতিবেশী লক্ষ্মী তালুকদারের বিবাদ বাঁধে। ময়লা ফেলা নিয়ে শুরু হয় বচসা। যদিও অচিরেই সেই বচসা থেমে যায়। এরপর রাতে দেখা যায় ধুন্ধুমার কাণ্ড। অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কেশব হালদারের নেতৃত্বে একদল দুষ্কৃতী রামচরণ রায়ের বাড়িতে হামলা চালায়। তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীও দুষ্কৃতীদের হাত থেকে রেহাই পায়নি বলে অভিযোগ।
আচমকাই রামচরণ বাবুর স্ত্রী উর্বশী দেবীর উপর চড়াও হয়ে ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী দল। অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর উপর চলে এলোপাথাড়ি কিল, চড়, ঘুষি। পেটে লাথি মারার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন উর্বশী দেবী। তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গর্ভাবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন উর্বশী দেবী।
ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। ১৮ অগাস্ট লিলুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। যদিও পরিবারের দাবি, প্রাথমিক অবস্থায় কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তবে কলকাতার ঘটনার পর জনমানসে ক্ষোভ বাড়তে থাকে। অবশেষে সোমবার দু'জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, এটি পারিবারিক ঘটনা। তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, এর সঙ্গে রাজনীতির কোন সম্পর্ক নেই। নিতান্তই পারিবারিক সমস্যা, যদিও মানতে নারাজ পরিবারের লোকজন।