বাসে উঠলেই ন্যূনতম ভাড়া দশ টাকা! প্রতি চার কিমিতে কত করে বাড়বে খরচ?
জ্বালানির অগ্নিমূল্যের সাথে কোভিডের হয়রানি, ফের বিক্ষুব্ধ বাসমালিকরা
একদিকে জ্বালানি মূল্যের প্রতিনিয়ত উর্ধ্বগামীতা, অন্যদিকে করোনাকালে প্রথম ঢেউয়ের পর সব স্বাভাবিক হয়েও দ্বিতীয় ঢেউয়ে ফের পরিবহনের ওপর ধাক্কা। সরকারের সাথে বাস মালিকদের ভাড়া সংক্রান্ত বিরোধের এখনো কোনো সুরাহা হয়নি। দুর্গতি চরমে, লোকসানে ভুগছেন বাস পরিবহনের সাথে যুক্ত প্রত্যেক সদস্যই। লকডাউনে একেই নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে যান চলাচল, অন্যদিকে পেট্রল ডিজেলের অগ্নিমূল্য। নাজেহাল হয়ে আবারো ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে সরব হয়েছে ইউনিয়নগুলি।
বাস মালিকদের স্পষ্ট দাবি, ২০১৮ সালে বহু আন্দোলনের পর ভাড়া বাড়ে মাত্র ১ টাকা। এখনোও পর্যন্ত সেই ভাড়াই চলছে। জ্বালানি ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম যেখানে চড়চড়িয়ে বাড়ছে, সেখানে ভাড়া বাড়ানো হচ্ছেনা কেন? লকডাউন শিথিল হলে বাসের ভাড়া না বাড়ালে বাস চালানো বন্ধ রাখবে ইউনিয়নগুলো, এমনটাই দাবি। একইসাথে সরকারের কাছে কিছু পরিমাণ আর্থিক অনুদানের আবেদনও জানাচ্ছেন তারা।
গতদিন আলোচনায় বসে বাস মালিক সংগঠনগুলি। নতুন ভাড়া কীভাবে হবে তার খসড়া তৈরি করা হয়। পাবলিক বাসের ক্ষেত্রে ০ থেকে ৪ কিলোমিটারের জন্য প্রস্তাবিত ভাড়া ১০ টাকা। ৪ থেকে ৮ কিলোমিটারের জন্য প্রস্তাবিত ভাড়া ১৫ টাকা। ৮ থেকে ১২ কিলোমিটারের জন্য প্রস্তাবিত ভাড়া হবে ২০ টাকা। ১২ থেকে ১৬ কিলোমিটার পর্যন্ত প্রস্তাবিত ভাড়া হবে ২৫ টাকা। অন্যদিকে, মিনি বাসের জন্য ০ থেকে ৩ কিলোমিটারে নতুন প্রস্তাবিত ভাড়া ১০ টাকা। ৩ থেকে ৬ কিলোমিটারের জন্য প্রস্তাবিত ভাড়া ১৫ টাকা। ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার জন্য প্রস্তাবিত ভাড়া ২০ টাকা ধার্য হতে চলেছে।