প্রতিশ্রুতি বিরুদ্ধ কাজ! মোদির শাসনে ঋণ বেড়ে দ্বিগুণ

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 08/03/2021   শেষ আপডেট: 08/03/2021 3:51 p.m.

সম্পদ বিক্রি এবং বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়িয়েই মেটানো হবে দেশের ঋণের বোঝা

ভোট এলেই সমস্ত নেতা-নেত্রীদের মধ্যে হিড়িক ওঠে ভোটারদের ঘরের মানুষ হওয়ার। শুধু কী তাই! কোন রাজনৈতিক গোষ্ঠী সবচেয়ে নজরকারা প্রতিশ্রুতি দেবে, সেই নিয়েও চলে দ্বন্দ্ব। তবে আদতেও লাভ হয় না কিছুই, ভোটে জেতার পর সব প্রতিশ্রুতি গুলিই নিমিষে ফিকে হয়ে ওঠে। তেমনই এক প্রতিশ্রুতি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার, তা তো দূরের কথা। উল্টে দেশবাসীর মাথায় এখন প্রায় এক লক্ষ টাকা ঋণের ভার। এমনই তথ্য সামনে এসেছে মোদি সরকারের পেশ করা বাজেট নথির ‘ডেট পজিশন অব গভর্নমেন্ট অব ইন্ডিয়া’তে।

ডেট পজিশন অব গভর্নমেন্ট অব ইন্ডিয়ার পরিসংখ্যান বলছে, '২০১৪-১৫ আর্থিক বর্ষে ভারতবাসীর মাথায় গড় ঋণের বোঝা ছিল ৪৬ হাজার ৬৯৭ টাকা। বিজেপি আসায় ঋণের বোঝা বৃদ্ধি পেয়ে, ৮৯ হাজার ১৩২ টাকায় এসে ঠেকেছে। আর পরের বছর তা ৯৯ হাজার ৯০৪ টাকায় গিয়ে ঠেকবে। আর তাই তো, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়ে দিয়েছেন, সম্পদ বিক্রি এবং বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়িয়েই মেটানো হবে দেশের ঋণের বোঝা। কাজেই, বাজেটের ঘোষণা বাস্তবে রূপায়ণ যে মোটেই সহজ নয়, তা বুঝতে বাকি নেই কেন্দ্রের। তাই নতুন হোক বা পুরনো, সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে তিনি মরিয়া।

সূত্রে খবর, ২০২০-২১ আর্থিক বছরে বিলগ্নিকরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২ লক্ষ ১০ হাজার কোটি টাকা।  কিন্তু আদতে সরকারের ঘরে এসেছে ৪০ হাজার কোটির কাছাকাছি। আর তাই একগুচ্ছ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিক্রির সিদ্ধান্ত দ্রুত কার্যকর করার উপর জোর দিচ্ছে মোদি সরকার।