এবারে বাতাস থেকেই তৈরি হবে জল, ভারতের এই ৬টি রেল স্টেশনে বসবে 'মেঘদূত'
এই মেঘদূত কিয়স্ক থেকে কী প্রযুক্তিতে জল তৈরি হবে জেনে নিন
মুম্বাইয়ের মানুষদের জন্য এবারে দারুন খবর। এবারে মুম্বাইয়ের ৬টি রেলওয়ে স্টেশনে বসছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর জল প্রস্তুত কেন্দ্র। বাতাসের জলীয় বাষ্প ঘনীভূত করে এবারে প্রস্তুত হবে পানীয় জল। আর আপনি এই জল দেদার খেতেও পারবেন। আর এই বিশেষ প্রযুক্তির নাম দেওয়া হয়েছে 'মেঘদূত'। জিনিসটি আদতে একটি মেশিন যার আসল নাম অ্যাটমোস্ফিয়ারিক ওয়াটার জেনারেটর। অ্যাম্বিয়েন্ট এয়ার থেকে জলীয় বাষ্প শুষে নিয়ে ঘনীভবন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাকে জলে রূপান্তরিত করতে পারে এই মেশিনটি।
এই মুহূর্তে মুম্বাইয়ের ৬টি বড়ো রেল স্টেশনে আপনারা এই কিয়স্ক দেখতে পারেন। এই স্টেশনের তালিকায় আছে মুম্বাইয়ের সবথেকে বড় রেল স্টেশন ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ টার্মিনাস। এই স্টেশনে আপনারা ৫টি কিয়স্ক দেখতে পাবেন। এছাড়া দাদর রেল স্টেশনে ৫টি কিয়স্ক, কুরলা স্টেশনে ১টি কিয়স্ক, থানে স্টেশনে ৪টি কিয়স্ক, ঘাটকোপার স্টেশনে ১টি কিয়স্ক এবং ভিক্রোলি স্টেশনে ১টি কিয়স্ক স্থাপন করা হয়েছে।
এই সমস্ত কিয়স্ক থেকে একটি নির্দিষ্ট দামের বিনিময়ে আপনারা জল কিনতে পারবেন। ৩০০ মিলিলিটার জলের জন্য আপনাদের খরচ ৫ টাকা, ৫০০ মিলি লিটারের জন্য খরচ ৮ টাকা, ১ লিটারের জন্য ১২ টাকা খরচ করতে হবে আপনাকে। এছাড়া আপনি এই জলের বোতল কিনতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে আপনাকে ১ লিটার জলের জন্য ১৫ টাকা খরচ করতে হবে। অন্যদিকে, এই প্রকল্পের জন্য ভারতীয় রেলকে প্রতি বছর ২৫.৫ লক্ষ টাকা দিতে হবে মুম্বাই সরকারকে।
চলতি বছরের জুন মাসেই এই প্রকল্পটি ইউনাইটেড নেশন গ্লোবাল কম্প্যাক্টে একটি নতুন উদ্যোগ হিসেবে নাম লিখিয়েছিল। এই কাজের জন্য মুম্বাই সরকার মৈত্রী অ্যাকোয়াটেক প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। এই নতুন উদ্যোগ প্রসঙ্গে এই কোম্পানির সিইও নবীন মাথুর বলেছেন, "এই নতুন প্রযুক্তি জলের প্রচলিত কোনো উৎস ব্যবহার করছে না। এটা সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি জলের ব্যবস্থা। এতে জলের কোনো অপব্যবহার করা হচ্ছেনা। এটি একটি টেকসই প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তিটি আসলে প্রত্যেক স্টেশনে একটি জলের কারখানা থাকার মতো ব্যাপার।"