সরকারি বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মচারীদের পরিবার পরিজনদের প্রতিষেধক দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকে
শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ শুরু করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার
কর্মচারীদের পাশাপাশি তাঁদের পরিবার পরিজনদের এবার কোভিড প্রতিষেধক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। শনিবার এক বিবৃতিতে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গুলিতে তেমন নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে কাজের ক্ষেত্রে কেবল কর্মচারী নয়, তাঁদের পরিবারের লোকজনদেরও যত দ্রুত সম্ভব প্রতিষেধক দিতে হবে।
উল্লেখ্য, কোভিড মোকাবিলায় ভ্যাকসিনই বিকল্প উপায় মনে করছে সব মহল। প্রথম ধাপে ৪৫ ঊর্ধ্ব ব্যক্তিদের প্রতিষেধক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। দ্বিতীয় ধাপে ১৮-৪৪ বছর বয়সীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার সুপারিশ করে সরকার। এবার তৃতীয় ধাপে সরকারি এবং বেসরকারি কাজের ক্ষেত্রে তাঁদের পরিবারের লোকজনদের যত দ্রুত সম্ভব ভ্যাকসিন নেওয়ার কথা বলেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। চিঠিতে বলা হয়েছে, কর্মচারীদের পরিবারের লোকজনদের যতটা দ্রুত সম্ভব ভ্যাকসিন নিতে হবে। তাঁরা যেকোন ভ্যাকসিন সেন্টার থেকে নিজেদের উদ্যোগেও প্রতিষেধক নিতে পারে। সেক্ষেত্রে বেসরকারি হাসপাতাল থেকেও প্রতিষেধক নেওয়ার কথা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গ সরকার সরকারি, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কিংবা সরকার পোষিত বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রতিষেধক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শনিবার বিকাশ ভবন সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যেই যাঁরা ভোটের ডিউটিতে ছিলেন, তাঁদের ২ ডোজের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অনেক শিক্ষক নিজেদের উদ্যোগে প্রতিষেধক নিয়েছেন। ৪৫ বছর নীচের শিক্ষকরা যাঁরা এখনও পর্যন্ত প্রতিষেধক নেননি, তাঁদের জন্য যতটা দ্রুত সম্ভব প্রতিষেধক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কলকাতার পাঁচটি জায়গায় ভ্যাকসিন সেন্টার খোলা হয়েছে। ৪-৫ দিনের মধ্যেই এই প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ শেষ করা হবে বলে জানা গেছে।