অবিশ্বাস্য : ৭০-এ এসে মা হলেন মহিলা
নাতি-নাতনী নিয়ে খেলার বয়সে প্রথম সন্তানের জন্ম দিলেন মহিলা
যে বয়সে এসে মহিলারা নিজের নাতি-নাতনীদের সাথে খেলা করেন, সেই বয়সে মা হলেন এক ‘বৃদ্ধা’। ৭০ বছর বয়সে এসে প্রথম সন্তানের মুখ দেখলেন তিনি। অলৌকিক এই ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাট রাজ্যের কছ জেলায়।
সন্তান উৎপাদন পদ্ধতিটি ইন-ভিট্রো ফার্টিলাইজেশনের (আইভিএফ) মাধ্যমে সম্ভবপর হলেও তাতে বিপুল প্রতিকূলতার সম্মুখীন হন ভুজের চিকিৎসকরা। আর এতে সবচেয়ে বড় বাধা ছিল মহিলার বয়স। তবে মহিলা নিজের অদম্য সাহসে ভর করে ৭০-এ এসেও সন্তানের মুখ দেখলেন তিনি।
মহিলার নাম জিজুবেন বালাভাই রাবারি। তিনি কছ জেলার রাপার তালুকের মোরা গ্রামের বাসিন্দা। বিবাহের দীর্ঘ ৪৫ বছর অতিক্রান্ত হলেও সন্তানের মুখ দেখতে পাননি জিজুবেন। তবে সন্তানলাভের আকাঙ্খা থেকেই গেছিল তার হৃদয়ে। আর সেই আকাঙ্খার জোরেই সাহস দেখিয়ে চিকিৎসকদের দ্বারস্থ হন তিনি। আইভিএফ পদ্ধতির মাধ্যমে সন্তান প্রাপ্তির আশা দেখতে শুরু করেন। ৭০-এ এসে সন্তান জন্ম দেওয়ার পথ সহজ না হলেও অবশেষে সাফল্যলাভ করলেন তিনি।
এবিষয়ে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, বয়সের উদাহরন দিয়ে তাঁরা প্রাথমিকভাবে জিজুবেনকে এরকম দুঃসাহসিক পদক্ষেপ নেওয়ার থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করেন। তবে সন্তানলাভের আশায় খুবই আবেগপ্রবণ ছিলেন ঐ মহিলা। আর সেই আবেগের জেরেই অসাধ্যসাধন করেছেন তিনি।
ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডঃ নরেশ ভানুশালি বলেন, প্রথমে ওষুধের মাধ্যমে মহিলার রজছক্র স্বাভাবিক করে তাঁর জরায়ুতে কৃত্রিম পদ্ধতিতে ডিম্বাণু নিষিক্ত করেন। দুসপ্তাহ পর মহিলার সোনোগ্রাফি করেন তাঁরা। সোনোগ্রাফির ফলাফল দেখে একপ্রকার বিস্মিত হয়ে পড়েন চিকিৎসকেরা। দেখেন, মহিলার জরায়ুতে ধীরে ধীরে বেড়ে উঠছে ভ্রূণটি। এরপরেই মহিলার নিয়মিত পর্যবেক্ষণ শুরু করেন তাঁরা। ভ্রূণের মধ্যে কোনও ত্রুটি দেখতে না পেয়ে মহিলার গর্ভাবস্থা বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সবকিছু সঠিক পথে চলার পর অবশেষে সন্তানের জন্ম দেন জিজুবেন। প্রথম সন্তানের মুখ দেখতে পেয়ে উল্লসিত বছর সত্তরের বৃদ্ধা। মা এবং তাঁর সন্তান সুস্থই আছে, এমনটাই খবর সূত্রের।