উপনির্বাচনে ধাক্কা খেতেই বিজেপি পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমিয়েছে, আক্রমণ এনসিপি সাংসদের
সম্প্রতি বিধানসভা উপনির্বাচনে হিমাচল প্রদেশের চারটি কেন্দ্রে পরাজিত হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি
পেট্রোলের দাম ৫ টাকা করতে হলে বিজেপিকে হারাতে হবে, বৃহস্পতিবার বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেন শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাওয়াত। বুধবার পেট্রোল এবং ডিজেলের আবগারি শুল্ক ৫ এবং ১০ টাকা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবং এই বিষয়টি পরেই বিজেপিকে তুলোধোনা করেছেন শিবসেনা সাংসদ। তিনি আজকে জানিয়েছেন, 'সমস্ত উপনির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবি পরে কেন্দ্রের তরফ থেকে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম কমানো হয়েছে। জ্বালানির দাম এখনই যদি ২৫ টাকা কমাতে হয় তাহলে বিজেপিকে আরো পরাস্ত করতে হবে। লিটার পিছু ৫০ টাকা কমানো দরকার। পেট্রোলের দাম যদি এখনই ৫০ টাকা করতে হয় তাহলে বিজেপিকে পুরোপুরি হারাতে হবে।'
তিনি আরো জানাচ্ছেন, ' যেভাবে প্রত্যেকদিন জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেই পরিস্থিতিতে উৎসব পালনের মত মানুষের কোন মানসিকতা নেই। এখনো মানুষকে ঋণ নিয়ে দীপাবলির উৎসব পালন করতে হচ্ছে।' প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিধানসভা উপনির্বাচনে হিমাচল প্রদেশের চারটি কেন্দ্রে বিজেপি একেবারে গো-হারা হেরেছে। এছাড়াও দাদরা ও নগর হাভেলি লোকসভা কেন্দ্রে উপ নির্বাচনে পরাজিত হয়েছে বিজেপি। পাশাপাশি বাংলা চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির পরাজয় হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হবার পরেই লিটার পিছু পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম কমানো হয়েছে। অন্যদিকে মহারাষ্ট্রে বিজেপির বিরোধিতা করে ক্ষমতায় আসীন হয়েছেন শিবসেনা, কংগ্রেস এবং এনসিপির যৌথ জোট। তারপরেই সরাসরি বিজেপিকে আক্রমণ করলেন শিবসেনা সাংসদ।
তবে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম কমিয়ে দিয়ে কেন্দ্রে তরফ থেকে একটি বড় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এরপর বিজেপি শাসিত বিভিন্ন রাজ্যের তরফ থেকে আরো কমানো হয়েছে এই পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম। এই প্রসঙ্গ নিয়ে এবারে বিরোধীদের দখলে থাকা বিভিন্ন রাজ্যের বিরুদ্ধে আক্রমণ করেছেন বিজেপি নেতারা। বিজেপির মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া এই প্রসঙ্গে কংগ্রেসকে আক্রমণ করে বলেছেন, 'উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম যথাক্রমে ১২ টাকা পর্যন্ত কমিয়ে দিয়েছেন। গুজরাত এবং আসামে ৭ টাকা পর্যন্ত দাম কমানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে যে দাম কমানো হয়েছে তার সঙ্গে এই সব রাজ্যের দামে কাটছাঁট করা হয়েছে। এখানে প্রশ্ন উঠছে তৃণমূল কংগ্রেস, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টি এই প্রসঙ্গে কি করছেন?'
ভাটিয়া বলছেন, পাঞ্জাব, ছত্রিশগড়, দিল্লি এবং রাজস্থানের মানুষ জানতে চাইছেন কেন রাজ্য সরকারের তরফ থেকে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না? মোদি সরকার যে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে তা রাজ্য সরকার কেন নিতে পারে না? এছাড়াও ভাটিয়া বলছেন, করোনাভাইরাস অতিমারির সময় দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। ৮০ কোটি মানুষকে বিনা মূল্যে রেশন দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ১৯ লক্ষ কোটি টাকা সরাসরি উপভোক্তাকে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি টাকা দেশের উন্নয়নের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। ১০৮ কোটি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে দেশের মানুষকে। মোদি সরকার যেখানে এতটা কাজ করতে পারছে, সেখানে বিরোধী শাসিত রাজ্য সরকারগুলি কি করছে, প্রশ্ন বিজেপির।