লোকসভায় থাকছে না প্রশ্নোত্তর পর্ব তোপ বিরোধীদের পশ্চিমবঙ্গকে দেখিয়ে পাল্টা খোঁচা বিজেপির
সংসদে প্রশ্ন করার ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া গনতন্ত্রের পক্ষে ক্ষতিকর - মত বিশেষজ্ঞদের
দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বিগত ৪০ বছরে সবথেকে খারাপ। সামাজিকভাবে করোনা নিয়ে চিন্তায় সকলে। এদিকে পাকিস্তান নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন সমস্যা। ঘাড়ের উপর তো সবসময়ই নিঃশ্বাস ফেলছে চীন। সব মিলিয়ে সব পরিস্থিতির চাপে থাকা দেশকে চাঙ্গা করতে রাষ্ট্রপতির প্রস্তাবে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর হতে চলেছে সংসদের অধিবেশন। কিন্তু এই অধিবেশনে কেউ উঠে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করার সুযোগ পাবেন না। লিখিত দিতে হবে প্রশ্ন। উঠে দাঁড়িয়ে উত্তর দিতেও বদ্ধপরিকর নন মন্ত্রীরা। আর এই নিয়েই বিরোধিতায় নেমেছে তৃণমূল সহ বিরোধীরা। তৃণমূলের মুখপাত্র ডেরেক ও ব্রায়েন টুইট করে লিখেছেন, ''এই ভিক্ষে চাওয়ার মতো একটা পদ্ধতি আনার চেষ্টা চলছে সংসদে। আর এটার ফলে বিরোধিতা করার সুযোগ থাকবে না।'' কোনো কেউ জোর গলায় নিজের প্রশ্ন জানতে না পারলে সংসদের পরিবেশ নষ্ট হবে বলে মত অনেক বিরোধী দলের।
যখন তৃণমূল এতো প্রতিবাদ করছে তখন রাজ্যে বিধানসভা অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্ব না থাকার ঘটনা সামনে এনে খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি। সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেছেন, তৃণমূল একটি দ্বিচারী দল। তারাই সময় নেই এর দোহাই দিয়ে বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্ব না রাখলে তাতে কোনো দোষ নেই। কিন্তু একই কারণে লোকসভায় একই সিদ্ধান্ত হলে সেটা অন্যায়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই মাসেই দু দিনের জন্য হবে বিধানসভার অধিবেশন। সেই প্রসঙ্গে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কোভিড পরিস্থিতিতে দুদিনের জন্য খোলা যাচ্ছে বিধানসভা। তাতে যথেষ্ট সময় থাকবে না তাই প্রশ্নোত্তর পর্ব বাদেই পরিকল্পনা করা হয়েছে।
বিজেপির জয়প্রকাশ বাবুর বক্তব্য, ''টানা ৬ মাস বন্ধ রাখা যায় না তাই খোলা হচ্ছে বিধানসভা। তৃণমূলের কিচ্ছু যায় আসে না বিধানসভা নিয়ে। খুলতে হয় তাই খুলছে।''