বড়সড় রদবদল হতে চলেছে মোদী ক্যাবিনেটে! ঠাঁই পাবেন কি বাংলার কেউ?
আজ 'ডিজিটাল ইন্ডিয়া'-র ৬ বছর পূর্তিতে ভিডিও কনফারেন্স বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী
কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট এবার হবে বড়সড় রদবদল। গতকাল অর্থাৎ বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রকগুলির কাজের খতিয়ান পর্যালোচনা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) একটি বৈঠক ডেকেছিলেন। সেখানে প্রায় টানা ৫ ঘন্টা ধরে বৈঠক চলে। তারপরই জানা গিয়েছে যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ মুখ বদল হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। কাজের ভিত্তিতে বিচার করে মোদি মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাওয়া যাবে। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) মোট মন্ত্রীর সংখ্যা ৬০। কিন্তু সংবিধান অনুযায়ী এই সংখ্যা ৭৯ অব্দি হতে পারে। অনেক মন্ত্রীর কাছে একাধিক মন্ত্রকের দায়িত্বে রয়েছে। এই আবহে আরও কয়েক জনের মধ্যে দায়িত্ব বন্টন হতে পারে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মোদি মন্ত্রিসভায় ২১ জন মন্ত্রী, ৯ জন স্বতন্ত্র দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজ্যমন্ত্রী ও ২৯ জন রাজ্যমন্ত্রী রয়েছেন।
এর মধ্যেই গুঞ্জন উঠেছে যে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হতে পারেন। তিনি ছাড়াও বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হতে পারেন। এছাড়া উত্তরবঙ্গের সংগঠন আরও বেশি মজবুত করতে কোচবিহার সাংসদ নিশীথ প্রামানিককে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করার ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে। অন্যদিকে ব্যারাকপুরের অর্জুন সিং, বিষ্ণুপুরের সৌমিত্র খাঁ ও হুগলির লকেট চট্টোপাধ্যায়, এই তিনজনের মধ্যে একজনকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়া হতে পারে। আসলে আগামী ২০২৪ নির্বাচনের রূপরেখা তৈরি করতে বিজেপি সরকার বাংলায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি করতে চাইছে যাতে বাংলার মানুষ কেন্দ্রীয় প্রকল্প পেয়ে গেরুয়া শিবিরকে ভবিষ্যতের জন্য বেছে নেয়।
মন্ত্রিসভায় রদবদলের আবহে আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার নরেন্দ্র মোদী একটি ভিডিও কনফারেন্সে মুখোমুখি হন "ডিজিটাল ইন্ডিয়া" র ৬ বছর পূর্তি উপলক্ষে। তিনি বৈঠকে অনলাইনে যে শিশুরা পড়াশোনা করেন তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং DIKSHA প্রকল্পের মাধ্যমে পড়াশোনা করার ওপর জোর দিয়েছেন। সেই সাথে তিনি বলেছেন, "কেন্দ্র চেষ্টা করে চলেছে যাতে শিশুদের পড়াশোনায় কোনো বাধা না আসে। ডিজিটাল মাধ্যমে এই অতি মাটির সময় তারা যাতে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে। এছাড়া কৃষকরা বর্তমানে অনলাইন মাধ্যমে নিজেদের উৎপাদিত ফসল বিক্রি করছে এবং ডিজিটাল পদ্ধতিতে ক্রেতাদের থেকে অর্থ পেয়ে যাচ্ছেন। টিকাকরণের ক্ষেত্রে কো উইন অ্যাপের মাধ্যমে বাড়িতে বসেই ভ্যাকসিন নেওয়ার স্লট বুক করা যাচ্ছে। এক কথায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রযুক্তির সুবিধা পেয়ে সাধারণ মানুষ লাভবান হচ্ছে দেশজুড়ে।"