কোভিডের ধাক্কায় ব্যাহত শিশুদের প্রাথমিক টিকাকরণ, উদ্বেগ প্রকাশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 28/04/2021   শেষ আপডেট: 28/04/2021 11:26 a.m.
-

টিকাকরণ না হলে শীঘ্রই বিপন্ন হবে পাঁচ কোটি প্রাণ!

করোনার জেরে একদিকে যেমন বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, সাথেই বিপন্ন হতে পারে ভবিষ্যত প্রজন্ম। এমনই উদ্বেগের কথা প্রকাশ্যে আনল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO। করোনার বাড়বাড়ন্তের জন্য বহু জায়গায় ব্যাহত হয়েছে পোলিও টিকাকরণ, এমনকি বন্ধ ছিল শিশুদের প্রাথমিক টিকাকরণ গুলিও। পাশাপাশি কোভিড অতিমারীর জন্য হাম এবং অন্যান্য রোগের নিয়মমাফিক টিকাকরণ প্রক্রিয়া ব্যাপক বিপর্যস্ত হয়েছে। ২০১৯ সালে হাম-সহ অন্যান্য রোগের টিকার ২.২৯ বিলিয়ন ডোজ বিলি করেছিল তারা। কিন্তু গত বছর সংখ্যাটা নেমে আসে ২.০১ বিলিয়নে। তাই আর কোনও ঢিলেমি না করে, জোরকদমে টিকাকরণ প্রকল্প স্বাভাবিক করার ডাক দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO।

‘গাভি’ সংস্থার প্রধান সেথ বার্কলি সতর্ক করে দিয়েছেন, “নিয়মমাফিক টিকাকরণের ক্ষেত্রে দু’দশক ধরে আমরা যে অগ্রগতি করেছিলাম, কোভিডের ধাক্কায় তার অবস্থা খারাপ। সারা বিশ্বে লক্ষ-লক্ষ শিশু বেসিক ভ্যাকসিন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।”

রাষ্ট্রসঙ্ঘের (UN) শিশু শাখা এবং ভ্যাকসিন আলায়েন্স ‘গাভি’-র সঙ্গে এ ব্যাপারে জোট বেঁধেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁদের নতুন গ্লোবাল স্ট্র‌্যাটেজির অধীনে এক দশকের কম সময়ে ৫০ মিলিয়ন মানুষের প্রাণ বাঁচাতে সক্ষম। এমনকি একটি বিবৃতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রিয়েসুস (Tedros Adhanom Ghebreyesus) বলেন, "হাম, পীতজ্বর, ডিপথেরিয়ার মতো প্রাণঘাতী রোগের একাধিক অতিমারী আটকাতে হলে আমাদের নিশ্চিত করতে হবে, বিভিন্ন দেশে নিয়মমাফিক টিকাকরণ যেন নির্বিঘ্নে চলতে পারে।” বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নত। যদিও এখনও প্রায় ৫০টি দেশে ৬০টি গণ টিকাকরণ প্রকল্প আটকে রয়েছে। ফলে হাম এবং পোলিওর মতো রোগের ঝুঁকি রয়েছে প্রায় ২২৮ মিলিয়ন শিশুর।

প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩ লক্ষ ৬০ হাজার ৯৬০ জন করোনাক্রান্ত হয়েছেন। যা আগের দিনের থেকে প্রায় ৩৭ হাজার বেশি। আপাতত দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৭৯ লক্ষ ৯৭ হাজার ২৬৭ জন। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আপাতত মৃতের সংখ্যা ২ লক্ষ ১ হাজার ১৮৭ জন।