করোনার তৃতীয় ঢেউ শিশুদের জন্য মারাত্মক? সাফ বার্তা NIDM-এর

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 23/08/2021   শেষ আপডেট: 23/08/2021 4:08 p.m.
শিশুদের করোনা @pixabay

স্কুল খোলার বিষয়ে সরকারকে বার্তা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে গঠিত বিশেষ কমিটির

তৃতীয় ঢেউ কবে আসবে তা এখনও নিশ্চিত নয়, করোনার এই তৃতীয় ঢেউ শিশুদের উপর কতটা প্রভাব ফেলবে, আদৌ ফেলবে কী না তা স্পষ্ট নয়। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে গঠিত বিশেষ এক কমিটি নিজেদের রিপোর্টে দাবি করেছে, অক্টোবরেই কোভিডের তৃতীয় ঢেউ শিখর ছুঁতে পারে। এর সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের কিছু বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, অক্টোবরে রাজ্যে দুর্গোৎসব। কাজেই পূর্বের অভিজ্ঞতা নিয়ে সাবধানতা অবলম্বন না করলে বাড়তে পারে বিপদ।

এদিকে NIDM -এর বিশেষজ্ঞরা আশা প্রকাশ করে বলেছেন, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শিশুদের উপর প্রভাব ফেলবে কী না, তা প্রমাণ হয়নি। তাই তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা সামলাতে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীসহ বিভিন্ন পরিকাঠামোর ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে কমিটির রিপোর্টে। দ্বিতীয় ঢেউয়ের দূর্বিষহ অবস্থার কথা মাথায় রেখে শিশুদের জন্য পর্যাপ্ত অ্যাম্বুলেন্স ও ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থা রাখতেও বলা হয়েছে।

যদিও করোনার তৃতীয় ঢেউতে, শিশুরা বেশি আক্রান্ত হবে এ ব্যাপারে এখনও যথেষ্ট প্রমাণ নেই। তবে NIDM এর মতে, শিশুরা তেমন আক্রান্ত না হলেও সংক্রমণ ছড়িয়ে দিতে ভূমিকা নিতে পারে।  

এই কমিটির তত্ত্বাবধানে ছিল জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। রিপোর্টে বলা হয়েছে, জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ থেকে ফের দেশের "আর ভ্যালু" ১-এর উপর উঠেছে। এর থেকেই বোঝা যায় যে একজন সংক্রমিতের থেকে আরও কতজন করোনাক্রান্ত হতে পারেন। তবে রাজ্যে গত ১৬ অগস্ট থেকে লাগু হয়েছে পরিবর্তিত কোভিড বিধি। নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, একশো শতাংশ টিকাকরণ হয়ে থাকলে আইটি সেক্টর এবং কল-কারখানাগুলি একশো শতাংশ কর্মী নিয়েই কাজ শুরু করতে পারবে। পাশাপাশি ৫০ শতাংশ মানুষকে প্রবেশের অনুমতি দিয়ে জাদুঘর, মিনার এবং বিনোদন পার্কগুলি খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, পুজোর পর কোভিড পরিস্থিতি বিচার বিবেচনা করে স্কুল খোলার বিষয়ে জানাবেন।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫ হাজার ৭২ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। বেশ খানিকটা বেড়েছে সুস্থতার হারও। বিগত একদিনে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪৪ হাজার ১৫৭ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩৮৯ জনের। বর্তমানে দেশে মোট তিন কোটি ২৪ লাখ ৪৯ হাজার ৩০৬ জন করোনা আক্রান্ত। সুস্থ হয়েছেন তিন কোটি ১৬ লাখ ৮০ হাজার ৬২৬ জন। দেশে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা তিন লাখ ৩৩ হাজার ৯২৪। সর্বমোট মৃত্যুর সংখ্যা চার লাখ ৩৪ হাজার ৭৫৬ জনের।