কোভিশিল্ডের দুটি ডোজের ব্যবধান ১২-১৬ সপ্তাহ রাখার প্রস্তাব, দ্বন্দ্বে সাধারণ মানুষ
ভ্যাকসিনে টান নাকি কার্যকারিতার জের! উঠছে প্রশ্ন
করোনার (COVID-19) ত্রাসে গোটা দেশ। দ্বিতীয় ঢেউয়ে (Second Wave) আরও বেশি সংক্রমিত হচ্ছে ভারত (India)। তবে ইতিমধ্যেই ভারতে প্রাপ্তবয়স্কদের টিকার (Covid Vaccine) অনুমোদন দেওয়া হলেও, প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে ভ্যাকসিনের মেয়াদ নিয়ে। কারণ ভ্যাকসিন নিয়েও আক্রান্ত হয়েছেন, এমন সংখ্যাটাও নেহাত কম নয়। এর জেরেই ভ্যাকসিন নিয়ে উঠেছে বহু প্রশ্ন। কীভাবে কাজ করবে ভ্যাকসিন? কতদিনের মেয়াদে ভ্যাকসিন নিলে বেশি কার্যকর হবে? কারণ ভ্যাকসিন বাজারে আসতেই শোনা গিয়েছিল, প্রথম ডোজের ২৮ দিন পরেই দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে। কিন্তু ভ্যাকসিন প্রয়োগের সময় এই ছবি কিছুটা পাল্টে যায়। কোভাক্সিনের ক্ষেত্রে প্রথম ডোজের ২৮ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া গেলেও, কোভিশিল্ডের ক্ষেত্রে আলাদা নিয়ম। কোভিশিল্ডের দুটি ডোজের ব্যবধান ছয় থেকে আট সপ্তাহ ছিল।
তবে এই নির্দেশ ফের পাল্টে গেল। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সরকারের প্যানেলের তরফে বলা হয়, কোভিশিল্ডের পূর্বের ব্যবধান আরও বাড়িয়ে ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ করতে বলা হয়েছে। তবে কোভ্যাক্সিন নিয়ে এরকম কোনও নির্দেশ আসেনি। পাশাপাশি সংবাদসংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকার করোনাক্রান্তদের টিকা নেওয়ার জন্য ঘোষনা করেছেন। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে করোনা থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ার পর অন্তত ৬ মাস অপেক্ষা করা উচিত টিকা নেওয়ার জন্য। একই সুরে ভারতের আইআইএসইআর বলেছিল, করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার পর অন্তত ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ অপেক্ষা করা উচিত টিকা নেওয়ার জন্য।
তবে প্রশ্নের বিষয় অনেকেই ইতিমধ্যেই কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে ফেলেছেন, তাঁদের কী হবে? তাঁদের ভ্যাকসিনের মেয়াদেরও বা কী হবে? আরও বড়ো প্রশ্ন উঠে আসছে, সাধারণ মানুষেরা পরবর্তী সময়ে ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে ঠিক কতদিনের ব্যবধানে দ্বিতীয় ডোজ নেবেন? এই নিয়েই কার্যত দ্বন্দ্বের মধ্যে সাধারণ মানুষ। অপরদিকে নেটিজেনদের মত, সরকারের কাছে ভ্যাকসিনের টান। সে কারণেই সময়ের ব্যবধান বাড়ানো হয়েছে।