পুনরায় ভারতে দেখা যাবে স্থলভাগের দ্রুততম প্রাণী চিতা

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 24/05/2021   শেষ আপডেট: 24/05/2021 4:56 p.m.
চিতা

এই বছর নভেম্বর নাগাদ মধ্যপ্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কে পুণরায় এই বিলুপ্ত প্রাণীটিকে দেখা যাবে

স্থলভাগের দ্রুততম প্রাণী চিতা, যা বর্তমানে বিলুপ্ত প্রাণী। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার বছরে শেষ চিতাটি প্রাণ হারিয়েছিল। ফলে ১৯৫২ সালে এটি বিলুপ্ত প্রাণী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এরপর বহু বছর কেটে গেছে। ভারতের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে কীভাবে এদেশে পুনরায় এই প্রাণীটিকে আনা যায় তার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু সেই প্রচেষ্টা সফল হয়নি। ২০০৯ সালে ভারতের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয় এবং দ্য ওয়াইল্ডলাইফ অফ ইন্ডিয়ার যৌথ উদ্যোগে এদেশে চিতা আনার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। যদিও সেই প্রচেষ্টা ততটা সফল হয়নি। তবে এবার আশার কথা শুনিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের বনমন্ত্রী বিজয় শাহ। তিনি রবিবার জানিয়েছেন, এই বছরে নভেম্বর নাগাদ মধ্যপ্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে পুনরায় এই প্রাণীটিকে আনা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত কয়েক বছর ধরে দ্য ওয়াইল্ডলাইফ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া ভারতে পুনরায় দক্ষিণ আফ্রিকা প্রজাতির চিতা আনার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্ট সে বিষয়ে অনুমতি দিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের বনমন্ত্রী বিজয় শাহ জানিয়েছেন, "আমরা দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে কুনো ন্যাশনাল পার্কে পাঁচটি মহিলা চিতাসহ ১০ টি চিতা আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। এই প্রক্রিয়া আগস্ট মাসের মধ্যে শেষ হবে।" তিনি আরও জানিয়েছেন, ভারত থেকে একটি বিশেষজ্ঞ দল দক্ষিণ আফ্রিকায় যাবে। এই বছর জুন জুলাই মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় তাঁদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তারপর তাঁরা অক্টোবর নভেম্বর মাস নাগাদ এদেশে চিতা নিয়ে আসবেন।

সূত্রে খবর, কুনো ন্যাশনাল পার্কটি দক্ষিণ আফ্রিকার এই বিশেষ প্রজাতির চিতার পক্ষে উপযুক্ত। এই সুরক্ষিত অঞ্চলটিতে চার শৃঙ্গযুক্ত কৃষ্ণসার হরিণ, নীলগাই, বুনো শুয়োর, সম্বর হরিণ, সাধারণ হরিণ রয়েছে। ফলে চিতার শিকারের পক্ষে উপযুক্ত হবে। ভারতের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের তরফে এই প্রজেক্টটি অনুমোদিত হয়েছে। পাশাপাশি এই অর্থবর্ষে এই প্রজেক্টের জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়েছে বলে জানিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের বনমন্ত্রী বিজয় শাহ।

ইতিমধ্যেই গত ২৬ এপ্রিল দক্ষিণ আফ্রিকার এক বিশেষজ্ঞ দল কুনো ন্যাশনাল পার্ক দেখে গেছেন। দ্য ওয়াইল্ডলাইফ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার বিজ্ঞানীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের তরফ থেকে সবুজ সংকেত মিলেছে বলে বন দফতর সূত্রে খবর। তাঁরা আরও জানিয়েছেন, মধ্যপ্রদেশ ছিল চিতার পূর্বের আবাসস্থল। তাই সব দিক থেকেই এই অঞ্চলটি পুণরায় বেছে নেওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। ২০০৯ সালে যে প্রজেক্টটি শুরু হয়েছিল, তা যে সফল হতে চলেছে, তা মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।