সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি প্রায় ২৮৬ শতাংশ, সব টাকা কালো নয় দাবি কেন্দ্রের

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 20/06/2021   শেষ আপডেট: 20/06/2021 10:24 a.m.

সুইস ব্যাঙ্কে বাংলাদেশিদেরও কমেনি টাকা পাচার

গত এক বছরে সুইস ব্যাঙ্কে (Swiss Bank) ভারতীয়দের গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে। সেই গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ প্রায় ২০,৭০০ কোটি। যা গত ১৩ বছরে সর্বোচ্চ বলে জানা গেছে। এ নিয়ে কেন্দ্র সরকার ফের বাড়তি চাপের মধ্যে। দিন কয়েক এ নিয়ে বিস্তর জলঘোলার পর কার্যত বাধ্য হয়ে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে সুইস ব্যাঙ্কে বাড়তি জমা হওয়া টাকার সঙ্গে কালো টাকা জমার বৃদ্ধির কোন সম্পর্ক নেই।

উল্লেখ্য, ক্ষমতায় আসার আগে মোদী সরকারের দাবি ছিল বিদেশে গচ্ছিত কালো টাকা দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। কিন্তু বিরোধীদের কাছে এ নিয়ে মুখ পুড়েছে মোদী সরকারের। এমন অবস্থায় গত এক বছরে সুইস ব্যাঙ্কে রেকর্ড টাকা জমা পড়ায় প্রশ্ন উঠেছে সব মহলে। জানা গেছে ২০১৮ ও ২০১৯ সালে সুইস ব্যাঙ্কে টাকা জমার পরিমাণ তুলনামূলক ভাবে কমছিল, তবে ২০২০ সালে সেই বৃদ্ধির পরিমাণ প্রায় ২৮৬ শতাংশ। এমন অবস্থায় কেন্দ্র সরকার বাড়তি চাপে পড়ে সাফাই দিয়েছে যে সুইস ব্যাঙ্কে জমা পড়া বাড়তি টাকার সঙ্গে কালো টাকা জমা পড়ার কোন সম্পর্ক নেই। ইতিমধ্যেই ভারত ও সুইজারল্যাণ্ডের মধ্যে কর ফাঁকি সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ফলে খুব শীঘ্রই সেই তথ্য হাতে আসবে। তখন বোঝা যাবে এ টাকার প্রকৃত উৎস কী। তবে কেন্দ্র সরকার আরও জানিয়েছে এ টাকা ব্যবসায়িক কারণে ভারতীয় সংস্থা গুলি বাড়াতে পারে। আসল কারণ জানতে সুইস ব্যাঙ্কের কাছে ইতিমধ্যেই তথ্য চাওয়া হয়েছে বলে খবর।

অন্যদিকে ভারতের প্রতিবেশি দেশ বাংলাদেশেও (Bangladesh) সুইস ব্যাঙ্কে গচ্ছিত রাখার পরিমাণ বেড়েছে। সুইজারল্যাণ্ডের বিভিন্ন ব্যাঙ্কে বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে প্রায় বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫ হাজার ৪০০ কোটি জমা রয়েছে বলে সূত্রে খবর। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের মানুষের টাকা সুইস ব্যাঙ্কে সুরক্ষিত থাকবে সেই ভরসায় টাকা পাচারের ঘটনা ইদানিং বেড়েছে। পাশাপাশি এইসব টাকার যে সবটাই অবৈধ তা মনে করছেন না একাংশ। তাঁদের দাবি বাংলাদেশের বিভিন্ন নাগরিক যাঁরা দেশের বাইরে থাকেন, এ টাকার একটা অংশ তাঁদের হতে পারে। বৈধ কিংবা অবৈধ টাকা গচ্ছিত রাখতে সুইজারল্যাণ্ডের বিভিন্ন ব্যাঙ্ক বিশ্বের কাছে বেশ জনপ্রিয়। সেই মোতাবেক বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রভাবশালী সেই পথ বেছে নিয়েছেন বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।