কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাকামী আন্দোলনের নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানি প্রয়াত

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 02/09/2021   শেষ আপডেট: 02/09/2021 9:10 a.m.
সৈয়দ আলি শাহ গিলানি https://twitter.com/syedsoharwardy

মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯২ বছর

প্রয়াত হলেন দীর্ঘদিন কাশ্মীরের (Kashmir) বিচ্ছিন্নকামী আন্দোলনের অন্যতম প্রধান মুখ সৈয়দ আলি শাহ গিলানি (Sayed Ali Shah Geelani)। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। বুধবার রাতে শ্রীনগরে নিজ বাসভবনে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

দীর্ঘদিন ধরেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। ২০১৮ সালে একবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। তার জেরে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার কারণে বুধবার বিকেল থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে থাকে। আর রাতের দিকে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে খবর। তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পিডিপি দলনেত্রী মেহবুবা মুফতি। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেছেন, "গিলানি সাহেবের মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। অনেক বিষয়ে তাঁর সঙ্গে মতপার্থক্য থাকলেও তাঁর অবিচল বিশ্বাস এবং একনিষ্ঠ মনোভাবের জন্য তাঁকে শ্রদ্ধা করি। মহান আল্লাহ তাঁকে যেন জন্নতে স্থান দেন। তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।"

গিলানির জন্ম ১৯২৯ সালে বারামুলায়। পরবর্তীকালে লাহোরের ওরিয়েন্টাল কলেজে পড়াশোনা। আর তারপর সক্রিয় রাজনীতিতে যোগদান করেন তিনি। তিনবার ১৯৭২, ১৯৭৭, ১৯৮৭ সালে জম্মু-কাশ্মীরের সোপোর আসন থেকে বিধায়ক হয়েছিলেন। তিনি জম্মু-কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনে যুক্ত থাকার অভিযোগে দীর্ঘদিন তিনি গৃহবন্দি ছিলেন। তিনি হুরিয়ত কনফারেন্সের অন্যতম নেতা ছিলেন। তিনি কাশ্মীরে তেহরিক-ই-হুরিয়ত গঠন করেন। যদিও গতবছর তিনি হুরিয়ত কনফারেন্সের চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দেন বলে খবর। তিনি সেইসময় অভিযোগ করেছিলেন, কাশ্মীরবাসীর স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে হুরিয়তের কিছু নেতা আর্থিক তছরুপে মেতে রয়েছেন। শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তিনি বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন বলেও খবর।