জরুরীকালীন ব্যবহারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেল সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভোভ্যাক্স
নোভোভ্যাক্সের তৈরি ভ্যাকসিনের ভারতীয় সংস্করন এটি, যা তৈরি করেছে সেরাম ইনস্টিটিউট
ভারতের জন্য আরও একটি গর্বের দিন। এবারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে ভারতে আরো একটি করোনা ভ্যাকসিনকে আপৎকালীন ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেওয়া হল। সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি নতুন করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন কোভোভ্যাকসকে অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। জানা যাচ্ছে, নোভোভ্যাকসের তৈরি করোনা ভাইরাসের টিকার ভারতীয় সংস্করণ হল এটি, যেটা তৈরি করেছে সেরাম ইনস্টিটিউট। একটি প্রেস কনফারেন্স করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার শুক্রবার জানিয়েছে, 'আজকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এনভিএক্স- কোভ২৩৭৩ কে জরুরীকালীন ব্যবহারের জন্য করোনা ভাইরাসের টিকা হিসেবে অনুমোদন দিল। সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার দ্বারা উৎপাদিত এই টিকা নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে মানুষকে টিকা দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হতে পারে।'
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে জরুরিকালীন অনুমোদন পাওয়ার পরে সেরাম ইনস্টিটিউট এর কর্ণধার আদর পুনাওয়ালা টুইটারে লিখেছেন, 'করোনাভাইরাস এর বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ে আরো একটি মাইলফলক যুক্ত হলো। কোভোভ্যাক্স চমৎকারভাবে করোনাভাইরাস এর বিরুদ্ধে আপনাকে সুরক্ষা দেবে এবং নিজেদের কার্যকারিতা দেখাবে। এই ভ্যাকসিন তৈরি করার জন্য সকলের সহযোগিতার জন্য সবাইকে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই।'
সম্প্রতি একটি রিপোর্টে আদর পুনাওয়ালাকে উদ্ধৃত করে লেখা হয়েছে, 'আমরা শিশুদের মধ্যে গুরুতর অসুস্থতা দেখিনি। শিশুদের নিয়ে এখন চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। তবে আমরা ছয় মাসের মধ্যে তাদের জন্য একটি ভ্যাকসিন চালু করব। আশা করা হচ্ছে এই ভ্যাকসিন তিন বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের জন্য পাওয়া যাবে।' সেখানে আদর পুনাওয়ালা আরও বলেছিলেন, 'বর্তমানে আমাদের কোভোভ্যাকস ভ্যাক্সিনেশন এর ট্রায়াল চলছে। তিন বছর বয়স পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই চমৎকার ফলাফল দেখিয়েছে এই ভ্যাকসিন। আগামী ৬ মাসের মধ্যে যে টিকা চালু করা হবে।'