আসামে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ১৮ বছরের কম বয়সীদের কোভিড আক্রান্তের ঘটনা ৯৬.৬৭ শতাংশ বৃদ্ধি
তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আগে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে
আসামে (Assam) কোভিডের (Covid-19) দ্বিতীয় ঢেউয়ে (Second Wave) ১৮ বছরের কম বয়সীদের কোভিড আক্রান্তের ঘটনা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। পরিসংখ্যান বলছে, প্রথম ঢেউয়ের তুলনায় দ্বিতীয় ঢেউয়ে ১৮ বছরের কম বয়সী কিশোর ও শিশুদের মধ্যে কোভিড আক্রান্তের ঘটনা ৯৬.৬৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও দ্বিতীয় ঢেউয়ে সার্বিক কোভিড আক্রান্তের ঘটনা মাত্র ২৭.৩১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ঘটনা সামনে আসায় রীতিমত আশঙ্কায় আছে আসাম প্রশাসন। শুধু তাই নয়, রাজ্যে ০-৫ বছর বয়সী শিশুদের কোভিড আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা পরপর তিন বার বৃদ্ধি পেল।
কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে চোখ রাঙিয়েছে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট (Delta Variant)। এবার বিজ্ঞানীদের ধারণা তৃতীয় ঢেউয়ে (Third Wave) ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট অতি সংক্রামক আকার ধারণ করতে পারে। আর তাতে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আসামে দ্বিতীয় ঢেউয়ে ১৮ বছরের কম বয়সীদের যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়লে রাজ্যের পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে, তা নিয়ে রীতিমত চিন্তিত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
আসামের ন্যাশনাল হেল্থ মিশন রিপোর্ট অনুযায়ী, কোভিডের প্রথম ঢেউয়ে ১৭,৪৫৭ জন ০-১৮ বছর বয়সীদের কোভিড আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছিল। আর দ্বিতীয় ঢেউয়ে তা বেড়ে হয়েছে ৩৪,৩৩৩ জন। পরিসংখ্যান বলছে, মৃত্যুর ঘটনাও প্রথম ঢেউয়ের তুলনায় দ্বিতীয় ঢেউয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। কোভিডের প্রথম ঢেউয়ে ০-৫ বছর বয়সীদের মৃত্যু ছিল মাত্র ৩, যা দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেড়ে হয়েছে ১৯। আবার ৬-১৮ বছর বয়সীদের মৃত্যুর ঘটনা প্রথম ঢেউয়ে ছিল ৬, দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেড়ে হয়েছে ১৫। আসামের ন্যাশনাল হেল্থ মিশন সোমবার এক পরিসংখ্যান দিয়ে বলছে, এপ্রিল থেকে ২৬ জুন, ২০২১-এর মধ্যে ০- ১৮ বছর বয়সীদের ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা অতি উদ্বেগজনক। তবে এই মৃত্যুর অধিকাংশের কোমর্বিডিটি ছিল।
সরকারি নির্দেশ অনুসারে স্কুল কলেজসহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এইসব স্থান থেকে কোভিড ছড়ানোর ঘটনা ঘটেনি। এক্ষেত্রে বাড়ির বড়দের শরীর থেকে শিশুদের শরীরে কোভিড আক্রান্তের ঘটনা ঘটছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকদের একাংশ। দ্বিতীয় ঢেউয়ে যদি এই পরিস্থিতি হয়, তৃতীয় ঢেউয়ে তা কোন জায়গায় পৌঁছাতে পারে, তা ভেবে যথেষ্ট আতঙ্কিত প্রশাসন।