৬ মাসে ৪০০-র বেশি দুষ্কৃতীদের হাতে ধর্ষিতা, পুলিশের লালসার হাত থেকেও রেহাই মেলেনি নাবালিকার
মর্মান্তিক! লাগাতার ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েও মেলেনি রেহাই
বছর দুয়েক আগে হঠাৎ-ই মায়ের মৃত্যু। অসহায় বাবা বাধ্য হয়ে মেয়ের বিয়ে দিলেন। শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে একের পর এক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার। এমনকী স্বামীর অনুপস্থিতিতে শ্বশুরের কাছে হলেন বারবার শারীরিক নির্যাতনের শিকার। বাধ্য হয়ে ফের ফিরে এলেন বাপের বাড়িতে। কিন্তু অসহায় পিতা মেয়ের ভরণপোষণের দায়িত্ব সামলাতে অপারগ। বাধ্য হয়ে মেয়েটি কাজের সন্ধানে বেরিয়ে পড়েন। কাজ দেওয়ার নাম করে দুই ব্যক্তি তাঁকে প্রথমে ধর্ষণ করেন। এরপরও মেলেনি কাজ। বাধ্য হয়ে শহরে গমন। আর সেখানে কাজ দেওয়ার নামে ছয় মাসে অন্তত ৪০০ মানুষের হাতে ধর্ষণের শিকার হলেন সেই অসহায় মেয়েটি। লাগাতার ধর্ষণের ফলে এখন তিনি অন্তঃসত্ত্বা। তারপরও থামেনি শারীরিক নির্যাতন। এমনই রোমহর্ষক, ভয়াবহ ঘটনা ঘটল এদেশের বুকে।
মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) একটি ছোট শহর আম্বেজোগই। এখানেই এক নাবালিকাকে ছয় মাসে অন্তত ৪০০ দুষ্কৃতীদের হাতে ধর্ষিতা হতে হল বলে খবর। এক শ্রমিক পরিবারের কন্যা এই নাবালিকা। মায়ের মৃত্যু হয় বছর দুয়েক আগে। এরপর তাঁর বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শ্বশূবাড়িতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বাপের বাড়ি চলে আসেন তিনি। এরপর একটা কাজের সন্ধানে বারবার তাঁকে ধর্ষিতা হতে হয়েছে বলে খবর। এখানেই শেষ নয় গত ছয় মাসে অন্তত ৪০০ দুষ্কৃতীদের হাতে তিনি ধর্ষিতা হয়েছেন। এরপর তিনি গর্ভবতী হয়ে পড়েন। তারপরও থামেনি ধর্ষণের ঘটনা।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় গোটা দেশে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রাথমিক অবস্থায় এই নির্যাতিতা আম্বেজোগই শহরের একটি থানায় অভিযোগ দায়ের করার চেষ্টা করেন। যদিও পুলিশ প্রথমে কোন কথাই শোনেনি। এমনকী একজন পুলিশ অফিসার তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন বলেও অভিযোগ। এরপর গোটা বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসায় ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। মহারাষ্ট্রের বীড জেলার পুলিশ সুপার গোটা ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। চারজন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির তত্ত্বাবধানে গোটা বিষয়টি নজরে এসেছে। দেশের বুকে এমন জঘন্য অপরাধের ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমে তীব্র নিন্দার ঝড় উঠেছে।