পেগাসাস কাণ্ডে নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের ইস্তফার দাবি বিরোধীদের
সংসদের বাদল অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনেও উত্তাল বিরোধী শিবিরে
ফোনে আড়িপাতা কাণ্ড (Pegasas Report) নিয়ে উত্তাল বাদল অধিবেশনের (Monsoon Session) দ্বিতীয় দিন। এদিন কেন্দ্রের দুই কক্ষে একজোট হয়ে কংগ্রেস, রাষ্ট্রীয় জনতা দল, তৃণমূল কংগ্রেস কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন। সংসদের মধ্যে ক্রমাগত হইহট্টগোলের জেরে রাজ্যসভার অধিবেশন দুপুর ১২ টা পর্যন্ত এবং লোকসভার অধিবেশন দুপুর ২ টো পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়েছে। অধিবেশন শুরুর আগের থেকেই বিরোধী দলের নেতাদের প্ল্যাকার্ড হাতে নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) এবং অমিত শাহের (Amit shah) ইস্তফা দাবি করতে দেখা যায়। ইজরায়েলি সংস্থার ফোনে আড়িপাতা কাণ্ড নিয়ে রীতিমত উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদ চত্বর।
অন্যদিকে, ফোনে আড়িপাতা কাণ্ড প্রকাশ্যে আসতেই বিরোধীদের এককাট্টা প্রতিবাদে বাড়তি চাপে কেন্দ্র সরকার। ড্যামেজ কন্ট্রোলে স্বয়ং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে মাঠে নামতে হয়েছে। এই প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, "জানি আমার এই কথাটা নিয়ে অনেকে হাসাহাসি করেন। কিন্তু আজ খুব সিরিয়াস হয়েই এই কথাটা আমি বলতে চাই। আপনারা ক্রোনোলজিটা বুঝুন। ঠিক কখন এই ধরনের লিক গুলি হচ্ছে। ঠিক কীভাবে আমাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।" তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, দেশের মধ্যে যারা সরকারের কাজে বাধা সৃষ্টি করছে, তেমনি তাদের মদত দিচ্ছে বিদেশে থাকা কিছু বাধাদানকারী। তা নাহলে যেকোন গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশনের আগে এই রিপোর্ট গুলি প্রকাশ্যে আসে কেন? সরকার যতই সাফাই দিক পেগাসাস রিপোর্ট নিয়ে ইতিমধ্যেই উত্তাল গোটা দেশ।
এদিকে মঙ্গলবার এক টুইট বার্তায় তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ দাবি করেছেন, "LOP (Limitless opportunist) প্রকাশ্যে পুলিশকে বলেছে ওর কাছে আমাদের নেতার দপ্তরের ফোনের কল লিস্ট, রেকর্ডিং সব আছে। এটা ফোনে আড়ি পাতার প্রমাণ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেকের কাছে অনুরোধ, অবিলম্বে তদন্ত শুরু করে ওর জেরার মাধ্যমে গোটা চক্রান্ত প্রকাশ্যে আনা হোক।" প্রকৃত পক্ষে এই LOP 'লিডার অফ অপোজিশন' অর্থাৎ নাম না করেও কুণাল ঘোষ শুভেন্দু অধিকারীর দিকে আঙুল তুলেছেন। তিনি দাবি করেছেন ফোনে আড়িপাতা কাণ্ডে সরাসরি বসিয়ে জেরা করা হোক। পাশাপাশি রাজ্যে এবং কেন্দ্রের সংসদে প্রতিবাদ জারি রেখেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সব মিলিয়ে এবারের বাদল অধিবেশন ফোনে আড়িপাতা কাণ্ড নিয়ে উত্তাল।