প্রাণনাশের হুমকি পেল হিজাব বির্তকে রায়দানকারী বিচারকরা, Y ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেবে কর্ণাটক সরকার
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব বহাল থাকবে এমন রায় দিয়েছিল কর্ণাটক হাইকোর্ট
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব বহাল থাকবে, সম্প্রতি এমনই রায় দেওয়া হয়েছিল কর্ণাটক হাইকোর্টের তরফে। সেই ডিভিশন বেঞ্চে যে সকল বিচারক উপস্থিত ছিল তাদের সুরক্ষার স্বার্থে এবার ওয়াই শ্রেণীর নিরাপত্তা বহাল করা হবে, রবিবার এমনটাই ঘোষণা করলেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোমাই। কিন্তু এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পিছনে কারণ কী? বোমাই এদিন নিজ বাসভবনের বাইরে দাঁড়িয়ে সংবাদমাধ্যমকে জানায় যে সম্প্রতি ওই তিন বিচারককে প্রাণনাশের হুমকি পেতে হয়েছে। আর সেই কারণেই এই নিরাপত্তা বলয়। বোমাইয়ের কথায়, "এটি গণতন্ত্রের উদ্বেগজনক লক্ষণগুলির মধ্যে একটি। আমাদের নিশ্চিত করা উচিত যে এই ধরণের দেশবিরোধী শক্তি যেন বৃদ্ধি না পায়। বিচারবিভাগের কারণে দেশে আইন-শৃঙ্খলা বহাল রয়েছে। আর তাদেরই এমন হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে।"
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ডিভিশন বেঞ্চে ছিলেন প্রধান বিচারপতি রিতু রাজ, কৃষ্ণা দীক্ষিত ও খাজি এম জাইবুন্নেসা। সূত্রের খবর, শনিবার অ্যাডভোকেট উমাপতি এস কর্ণাটক হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে অভিযোগ করেন যে তিনি হোয়াটসঅ্যাপে একটি ভিডিও বার্তা পেয়েছেন। সেখানে একজন ব্যক্তিকে প্রকাশ্য জনসভায়, ঝাড়খণ্ডের একজন বিচারকের নাম ধরে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে।
ওই অভিযোগে বলা হয়েছে, "ভিডিওর বক্তা কর্ণাটকের প্রধান বিচারপতিকেও একই হুমকি দিয়েছেন। প্রধান বিচারপতি কোথায় হাঁটতে যান তার উল্লেখ করে প্রচ্ছন্ন ভয় দেখানোর ইঙ্গিত রয়েছে সেখানে। এখানেই শেষ নয়, প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে যে কোনো মামলা করার জন্য খোলাখুলি চ্যালেঞ্জ করেন তিনি। এবং তিনি অত্যন্ত অশ্লীল ভাষায় আদালতের রায়কে সম্বোধন করেন।" অভিযোগকারী মনে করছেন ভিডিওটি সম্ভবত তামিলনাড়ুর মাদুরাইতে শ্যুট করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সুধা কাটোয়া নামক এক আইনজীবি ক্ববন পার্ক থানায় আইপিসি ধারা ৫০৬(১), ৫০৫(1১)(c), ৫০৫(৫)(b) র ভিত্তিতে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন যেখানে এর অধীনে একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। পুলিশ সুত্রে খবর, ভিডিওর নিরিখে ইতিমধ্যেই তামিলনাড়ু থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।