'ভুল করে' পাকিস্তানে ঢুকে পড়ল ভারতীয় মিসাইল, ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ ভারত সরকারের
আরেকটু হলেই ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ বেধে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল, তাই এই ঘটনা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে ভারত সরকারের তরফ থেকে
পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময় হঠাৎ করেই একটি ভারতীয় মিসাইল ঢুকে পড়ল পাকিস্তানের সীমান্তে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, পাকিস্তানের সীমান্ত থেকে ১২৪ কিলোমিটার ভিতরে গিয়ে পড়েছে এই মিসাইল। বৃহস্পতিবার রাতেই এই চাঞ্চল্যকর তথ্যটি একেবারে শোরগোল ফেলে দিয়েছিল গোটা পাকিস্তানে। বুধবার ভারতের একটি সুপারসনিক মিসাইল পরীক্ষার সময় হঠাৎ করেই একটি মিসাইল পাকিস্তানের দিকে পৌঁছে যায়। পাকিস্তানের তরফ থেকে এই ঘটনায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করা হলে শুক্রবার এই ঘটনায় ভুল স্বীকার করেছে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। ভারত সরকার এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
শুক্রবারের একটি বিবৃতিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, গত ৯ মার্চ রুটিন রক্ষণাবেক্ষণের সময় ড্রিলের যান্ত্রিক ত্রুটিতে মিসাইলটি ভুলবশত ফায়ার হয়ে যায় এবং পৌঁছে যায় পাকিস্তান ভূখণ্ডে। এই বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত সরকার এবং এই ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মিসাইলটি পাকিস্তানের ভূখণ্ডে পড়েছে এবং ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। তবে, এই ঘটনায় কারো প্রাণহানি হয়নি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই মিসাইল ছোড়ার ঘটনাটি নিয়ে পাকিস্তান সরকার ভারত সরকারের দূতকে তলব করে তীব্র আপত্তি জানায়। এছাড়াও এদিনকের এই ঘটনা নিয়ে স্বচ্ছ তদন্ত করার দাবি জানায় পাকিস্তান। সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে দাবি, বৃহস্পতিবার রাতেই ভারতীয় দূত কে তলব করে এই ঘটনার ব্যাপারে জানানো হয়। বলা হয়, একটি উড়ন্ত বস্তু পাকিস্তানে ঢুকে পড়েছে ভারতের সীমান্ত থেকে। জানা গিয়েছে, ভারতের সুরাতগড় থেকে বুধবার স্থানীয় সময় ৬.৪৩ নাগাদ ফায়ার করা হয় ওই মিসাইল। পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, একটি উড়ন্ত বস্তু আচমকা উৎক্ষেপণ করলে শুধুমাত্র মানুষের সম্পত্তি নয়, প্রাণহানি ও ঘটতে পারে। এই ঘটনায় ভারতীয় দূতকে তলব করে এই ঘটনার ব্যাপারে নিন্দা জানায় প্রশাসন। আন্তর্জাতিক নির্দেশিকা লঙ্ঘন করে পাকিস্তানের বায়ুসীমায় আঘাত করার সমান বলে উল্লেখ করা হয় এই ঘটনাকে। পাকিস্তান ভারতকে সতর্ক করেছে এই ঘটনা নিয়ে। জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে যদি এই বিষয়ে কড়া নজর না রাখা হয়, তাহলে এর ফল মারাত্মক হতে পারে।