Andhra Pradesh: লোডশেডিং! অগত্যা মোবাইল টর্চের আলোয় সন্তান প্রসব
সদ্যোজাতকে কোলে নিয়ে ঠাকুমার চোখে জল, বড় বিপদ থেকে উদ্ধার
প্রসব যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন মহিলাটি। বাড়ি লোকজন স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। ডাক্তাররা সমস্ত কিছু বিবেচনা করে ডেলিভারির সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু সেখানেই বাধ সাধে বিদ্যুৎ। গোটা এলাকাজুড়ে চলছে তখন লোডশেডিংয়ের ঘটনা। এদিকে হাসপাতালের জেনারেটরও খারাপ। কী করা যায়? অগত্যা মোবাইল টর্চের আলোয় সন্তান প্রসব করলেন সেই প্রসূতি। অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) নরসিপাটানমের এনটিআর হাসপাতালে ঘটল এমন বেনজির ঘটনা।
ঠিক কী ঘটেছিল এদিন? প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে একজন প্রসূতি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। গতকাল মাঝ রাতের দিকে আচমকাই প্রচন্ড প্রসব যন্ত্রণা ওঠে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেন এখনই ডেলিভারি না হলে বড়সড় বিপদের সম্ভাবনা। এদিকে হাসপাতালে তখন লোডশেডিং চলছে। খারাপ হয়ে পড়ে আছে জেনারেটর। এমন অবস্থায় কী করবেন বুঝতে পারছিলেন না হাসপাতালের ডাক্তার এবং নার্সরা। বাড়ির লোকজন আতঙ্কগ্রস্ত। উপায় নেই দেখে প্রসূতির বাড়ির লোকজনদের মোবাইল টর্চের ব্যবস্থা করতে বলা হয়। আর সেভাবেই সন্তান ভূমিষ্ঠ হন। সূত্রের খবর, মা ও সন্তান ভালো আছেন।
অন্ধ্রপ্রদেশ জুড়ে এই সময় চলে লোডশেডিংয়ের সমস্যা। বিভিন্ন এলাকা কার্যত আলোহীন। বাদ পড়েনি হাসপাতালও। অধিকাংশ হাসপাতালে পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিকল্প বিদ্যুৎ জেনারেটরের ব্যবস্থা থাকে। কিন্তু এদিন হাসপাতালের জেনারেটর কাজ করছিল না। এদিকে আসন্ন সন্তান প্রসবা প্রসূতির যন্ত্রণা উঠেছে। এত কষ্টের পরও পরিবারের লোকজনদের চোখে-মুখে আনন্দ। সন্তান জন্মের পর সদ্যোজাত সন্তানকে কোলে নিয়ে উপস্থিত ঠাকুমা। চোখ দিয়ে ঝরছে অনর্গল জল। আর বলতে শোনা গেল, ঠাকুর রক্ষা করেছেন।
এই ঘটনায় রীতিমতো প্রশ্ন উঠেছে। একাংশের অভিযোগ, সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রে না হয় মোবাইল টর্চের আলোয় সম্ভব হল, কিন্তু কোন জটিল অস্ত্রোপচারের ঘটনা ঘটলে কী হত? বড়সড় বিপদের সম্ভাবনা তো ছিলই।