বাড়তি ডোজ নিলেই মিলবে আজীবন ইমিউনিটি! দাবি ভারত-বায়োটেকের
CoWIN পোর্টালে নথিভুক্তিকরণের প্রথম দিনেই বিপত্তি! বন্ধ হল রেজিস্ট্রেশন
এত লাইন, ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষার পরেও ভ্যাকসিন নিতে ছুটছে সাধারণ মানুষ, তবে কতদিন অবদি এই ভ্যাকসিনে ফল দেবে? আদৌ কী ভ্যাকসিনে কাজ হবে? একাধিক ট্রায়ালের পর ভ্যাকসিন বাজারে এলেও, এই প্রশ্নের চিন্তা যাচ্ছেনা মানুষের মন থেকে। তার ওপর বারংবার শিরোনামে আসছে, ভ্যাকসিন নিয়েও করোনাক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই। হ্যাঁ, তা ঠিক। ভ্যাকসিন নিয়ে আপনি যদি মনে করেন, আপনার শরীরে ইমিউনিটি আছে, আপনার ভয়ের কারণ নেই, তা ভুল। কারণ, ভ্যাকসিন নিলে আক্রান্ত হতেই পারেন, কিন্তু মৃত্যুর আশঙ্কা কম। তবে ভ্যাকসিন নিয়ে কীভাবে মিলবে আজীবন ধরে ইমিউনিটি?
এই প্রশ্নের উত্তর দিল ভারত বায়োটেক (Bharat Biotech)। সংস্থার দাবি, তাদের তৈরি কোভ্যাকসিনের একটি বাড়তি ডোজ (তৃতীয় ডোজ) নিলেই করায়ত্ত হবে লাইফটাইম ইমিউনিটি। আর সেই মতোন নাকি, সোমবার তামিলনাড়ুর এসআরএম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কোভ্যাকসিনের তৃতীয় বুস্টার ডোজ দেওয়া হয় সাত জনকে। যাঁরা ৬০ দিন আগে কোভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন।
তবে কোভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজের কথা উঠতেই নানান প্রশ্ন তুলেছেন ভাইরোলজিস্টরা। কারণ, বর্তমানে বিশ্বজুড়ে যত টিকা আছে তার প্রায় সবই দুই ডোজের। তাই তাঁদের বক্তব্য, নিষ্ক্রিয় ভাইরাসে তৈরি ভ্যাকসিনে আজীবন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করা খুব মুশকিল। এ বিষয়ে এক বিশেষজ্ঞ ভাইরোলজিস্ট সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অ্যান্টিবডির স্থায়িত্ব নির্ভর করে মেমরি বি লিম্ফোসাইটের হাফ লাইফ—এর উপর। এই হাফ লাইফ আবার নির্ভর করে অ্যান্টিজেনের উদ্দীপ্ত করার ক্ষমতার উপর। গোটা প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয় ডেনড্রাইটিক কোষের মাধ্যমে, যা থাকে লিম্ফয়েড টিস্যুর জার্মিনাল সেন্টারের মধ্যে। মূলত তাঁর আসল কথা, এমন কোনও ইনঅ্যাক্টিভেটেড ভ্যাকসিন নেই যা জীবনভর সুরক্ষা দিতে পারে। তবে বুস্টার ডোজ দিয়ে অ্যান্টিবডির স্থায়িত্বকাল বাড়ানো যেতেই পারে।
এদিকে ট্রায়ালকারী সংস্থার দাবি, কোভ্যাকসিন সম্পূর্ণ নিরাপদ। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে। সব দিক বিবেচনা করেই তৃতীয় ডোজ ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ট্রায়াল সফল হলে জীবনভর মুক্তি মিলবে করোনা থেকে। এদিকে আজ থেকে শুরু হয়েছে কো-উইন অ্যাপে ভ্যাকসিন নেওয়ার নাম নথিভুক্তিকরণ। সেই উদ্দেশে ৪টে বাজতেই শুরু হয়ে যায় ভ্যাকসিন পাওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন। কিন্তু বিপত্তি ঘটে রেজিস্ট্রেশন শুরুর কয়েক মিনিট পরই। টিকা পেতে একসঙ্গে বহু মানুষ পোর্টালে ঢুকতেই তা ক্র্যাশ করে। বেশ খানিকক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে যায় রেজিস্ট্রেশন। তবে বর্তমানে স্বাভাবিক গতিতে চলছে এই পোর্টাল।