‘হোলি হ্যায়’, নেটদুনিয়া ভাসছে শুভেচ্ছাবার্তায়
রঙের উৎসবে মেতেছেন আট থেকে আশি
আজ দেশের হোলি (Holi)। বাঙালীর দোলপূর্ণিমা। রাঙিয়ে দেওয়ার বিশেষ এই দিনটিতে মিলে মিশে একাকার হয়ে যায় সমস্ত রং, তা সে লাল হোক কিংবা সবুজ। তবে এখন পথে নামার অনেক আগেই উজ্জাপন শুরু হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলিতে। হোলিতেও দেখা গেল না তার ব্যতিক্রম। দিনের শুরু থেকেই শুভেচ্ছাবার্তার বন্যায় ভাসতে শুরু করেছে ফেসবুক (Facebook), টুইটার (Twitter)। দেশবাসীকে বিশেষ দিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেশের রাষ্ট্রপতি থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী-সহ রাজনীতি এবং অন্যান্য জগতের ব্যক্তিত্বরা।
ভারতের রাষ্ট্রপতি (President) রামনাথ কোবিন্দ (Ramnath Kovind) টুইটে লিখেছেন, ‘হোলির পবিত্র মুহূর্তে সকল দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা। হোলি রঙের অধ্যায়, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং মিলনের জীবন্ত উদাহরণ এটি। বসন্ত ঋতুর আগমনের সুসংবাদ নিয়ে আসে এটি’। দেশবাসীর হিতে রাষ্ট্রপতির কামনা, ‘এই উৎসব সকল দেশবাসীর জীবনে আনন্দ, স্ফূর্তি এবং নতুন উদ্যম সঞ্চার করুক’।
টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও (Narendra Modi)। তিনি লিখেছেন, ‘সকলকে হোলির আন্তরিক শুভেচ্ছা। পরস্পরের প্রেম, স্নেহ এবং ভাতৃত্ববোধের প্রতীক এই রঙের উৎসব আপনাদের সকলের জীবনে খুশির সমস্ত রং নিয়ে আসুক’।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ্ (Amit Shah) টুইট করে লিখেছেন, ‘রং, স্ফূর্তি এবং হর্ষোল্লাসের এই মহাপর্ব সকলের জীবনে সুখ-শান্তি, সৌভাগ্য এবং নতুন উদ্যম নিয়ে আসুক’।
হোলি এবং দোলযাত্রার জন্য আলাদা আলাদা টুইট করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তবে দুই টুইটেই সকলের জন্য আনন্দ এবং শান্তি প্রার্থনা করেছেন তিনি। জানিয়েছেন, ‘বৈচিত্র্যের মাঝে একতা আমাদের উদ্বুদ্ধ করুক’।
ভিডিওর মাধ্যমে অনুগামীদের সঙ্গে শুভেচ্ছাবার্তা ভাগ করে নিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি (Rahul Gandhi)।
‘হোলি হ্যায়’ বলে দেশবাসীকে বিনা চিন্তায় রঙের উৎসবে সামিল হওয়ার দাওয়াই দিয়েছেন ক্রিকেটার বীরেন্দ্র শেওয়াগ (Virender Sehwag)। বলেছেন, ‘রঙের উৎসবে নিজের ভিতরের শিশুটিকে বার করে আনুন’।
হোলির শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’-এর ‘গুরুজি’ অনুপম খেরও (Anupam Kher)।
এছাড়াও নানান সেলিব্রিটি এবং সাধারণ মানুষজন মেতেছেন রঙের উৎসবের আনন্দে। শেষ দু’বছরে করোনা মহামারীর চোখরাঙানির জেরে ভাঁটা পড়েছিল আনন্দ, উজ্জাপনে। এবারের করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। তাই শেষ দু’বছরের উজ্জাপন, আনন্দ মিলিয়ে এবারের হোলি/দোলযাত্রার হাইপ তিনগুণ।