দেশের নতুন ডিজিটাল আইন নিয়ে ভারতের পাশে থাকার বার্তা গুগলের
দেশের নতুন পলিসির পাশে থাকতে বদ্ধপরিকর গুগল
গুগল (Google) সিইও সুন্দর পিচাই (Sundar Pichai) জানিয়েছেন, গুগল স্থানীয় আইন মেনে চলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সরকারের সব ধরণের নতুন পলিসির পাশে রয়েছে। তবে নতুন ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকারের সঙ্গে সব ধরণের সহযোগিতায় পাশে রয়েছে। তিনি বলেছেন, "স্পষ্টতই এটি প্রথম দিন এবং আমাদের স্থানীয় ইউনিট গুলি খুব ব্যস্ত থাকে। আমরা যে দেশে কাজ করি সে দেশে আমরা সর্বদা স্থানীয় আইনকে সম্মান করি এবং আমরা সেই দেশ গুলোতে গঠনমূলকভাবে কাজ করি। আমরা স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করি এবং সরকারের অনুরোধগুলি মেনে চলি।"
দেশে বর্তমান পরিস্থিতিতে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের উপর কঠোর পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেন্দ্র সরকার। দেশের নিয়ম-কানুন না মানলে সেগুলি বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে কেন্দ্র। এমন অবস্থায় ভারতের মতো বহুল সম্ভাবনাময় বাজার হাতছাড়া হলে স্বাভাবিক ভাবেই চিন্তা থাকে এই সংস্থা গুলির। তাই গুগলের এই পদক্ষেপ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সুন্দর পিচাই এমন অবস্থায় আরও জানিয়েছেন, "সংস্থা হিসেবে আমরা যথেষ্ট দায়িত্বের সঙ্গে কাজ করি। আমরা মুক্ত ও স্বাধীন ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানে বদ্ধপরিকর। তার জন্য আমরা বিশ্ব জুড়ে কাজ করে চলেছি। সেক্ষেত্রে এই নতুন ব্যবস্থাপনা আমাদের কাছেও শিক্ষনীয় বিষয়।"
বর্তমান বিশ্ব প্রযুক্তি ছাড়া অচল। তবে প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও কিছু নিয়ম-কানুন তাদের মেনে চলতে হয়। এতদিন তাই মেনে আসছে তারা। তবে দেশের সর্বাঙ্গীণ সংহতি বিনষ্ট হলে তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এমন অবস্থায় সুন্দর পিচাইয়ের বক্তব্য, আমরা সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরণের সাহায্য প্রত্যাশা করব। ইউরোপের দেশ গুলিতে যেখানে কপিরাইট সমস্যায় পড়তে হয়, সেখানে ভারতে বর্তমানে বিভিন্ন সমস্যা নজরে এসেছে। গুগল সবসময়ই সরকারের পাশে আছে। বর্তমানে ভারতের বাজারে বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট যেমন ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইন্সট্রাগ্রাম, গুগল নিয়ে সরকারের সঙ্গে মতভেদ তৈরি হয়েছে। সরকারের কোপে পড়েছে অনেক সংস্থা। এমন অবস্থায় সরকারের পক্ষে জারি হয়েছে নতুন আইটি আইন। এসব মানতে না পারলে ভারতের বাজারে তাদের অস্তিত্ব সংকটে পড়তে হতে পারে। যদিও গুগল জানিয়েছে, এতদিন তারা মেনে এসেছে। আগামীতেও মানতে তারা বদ্ধপরিকর।
ফেব্রুয়ারি মাসের ২৫ তারিখ যে নতুন পলিসি ঘোষণা করা হয়েছে সেখানে বেশ কিছু সংশোধনের কথা বলা হয়েছে। স্যোসাল মিডিয়া ব্যবহারকারী যদি কোন অনৈতিক কাজ করে তাহলে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে তা বাতিল করা হবে। এমনকী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোন অভিযোগ এলে তা তৎক্ষনাৎ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমন অবস্থায় ভারতের মতো বহু জটিলতার দেশে এই সংস্থা গুলিকে বাড়তি চাপে থাকতে হবে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। তবে গুগল দেশের অখণ্ডতা এবং সার্বিক স্থিতি বজায় রাখতে সরকারকে সব ধরণের সাহায্য করবে বলে জানিয়েছে।