ত্রিপুরার পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা, নাম ঘোষণা হতে না হতেই মন্ত্রী এমএলএ হাতাহাতি!
সূত্রের খবর, মানিক সাহা এই মুহূর্তে ত্রিপুরা বিজেপি রাজ্য সভাপতি এবং তিনি একজন রাজ্যসভার সাংসদ
জল্পনার অবসান। এবারে মানিক সাহা (Manik Saha) হতে চলেছেন ত্রিপুরার পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী। শনিবার পরিষদের মিটিং এর পরে তার নাম ঘোষণা করেছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব (Biplab Deb)। আর তিনি মানিক সাহাকে নিজেই উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করে নিলেন। তারপর এই তুমুল হট্টগোল শুরু হয়ে গেল বিজেপি দপ্তরে। বৈঠকের পরে মন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল (Ramprasad Paul) এ নিয়ে আপত্তি করা শুরু করলেন। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপস্থিতিতে কার্যত হাতাহাতি শুরু হল।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য আচমকাই পদত্যাগ করেছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। তিনি ত্রিপুরার রাজ্যপালের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। ২০১৮ সালের ৯ মার্চ তিনি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসে ছিলেন। কিন্তু মেয়াদ শেষের দশ মাস আগেই তিনি আচমকাই মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দিলেন। অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করার পরের দিন ইস্তফা দিলেন তিনি। তবে শোনা যাচ্ছে তাকে রাজ্যসভার সাংসদ করা হতে পারে বিজেপির তরফ থেকে। ফের তিনি দলের রাজ্য সভাপতির দায়িত্বে ফিরতে পারেন। তবে আপাতত এই বিষয়টি নিয়ে জল্পনা পারদ চড়ছে। সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে মানিক সাহা বিজেপির ত্রিপুরা রাজ্যের রাজ্য সভাপতি। এছাড়াও তিনি রাজ্যসভার সাংসদ। এলাকায় দক্ষ সংগঠক হিসেবে তিনি বেশ পরিচিত। দলের সংকটের দিনে তিনি শক্ত হাতে দলকে রক্ষা করেছিলেন। তবে তার হাতেই এবারে উঠতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রীর ব্যাটন। তবে এই চেয়ার কে ঘিরে দলের অন্দরে এদিন প্রকাশ্যে চলে এলো বিবাদ।
অন্যদিকে মানিক সাহার নাম ঘিরে বিজেপির অন্তরে দ্বন্দ্ব রয়েছে অনেক দিন ধরেই। স্বাভাবিকভাবেই বিজেপির দলীয় নেতৃত্ব অত্যন্ত অস্বস্তিতে। শোনা যাচ্ছে নাকি, দলের একাংশের সঙ্গে আলোচনা না করেই মানিক সাহার নাম ঘোষণা করেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। ত্রিপুরা বিজেপি নেতা সুব্রত চক্রবর্তী সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, সব বিষয়ে সকলে একমত হয়ে যাবেন সেরকম তো হয়না। কারো কারো অন্য মত থাকতেই পারে তবে এটা দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
তবে এই বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপির দিকে তোপ দেগেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে টুইট করে জানানো হয়েছে, 'রামপ্রসাদ পাল থেকে বিজেপির বিভিন্ন এমএলএ এবং মন্ত্রীরা এদিন রীতিমতো হাতাহাতিতে নেমে পড়লেন। বিপ্লব দেবের পদত্যাগ থেকেই বোঝা যাচ্ছে, বিজেপির অবস্থা ত্রিপুরায় সংগীন। এই মুহূর্তে বিজেপি ত্রিপুরায় সবথেকে খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বিজেপি পুরো গুন্ডারা চালাচ্ছে। রীতিমত গুন্ডারাজ চলছে। বিজেপিকে ধিক্কার!'