কেজরিওয়ালের মন্ত্রীসভায় ছিটল কালি, ইডির হাতে গ্রেফতার সত্যেন্দ্র জৈন, বাজেয়াপ্ত ১.৮ কেজি সোনা সহ কোটি কোটি টাকা
দুর্নীতির মামলায় দিল্লির মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন, স্ত্রী পুনম জৈন ও তাঁদের ঘনিষ্ঠদের কাছ থেকে কোটি টাকারও বেশি নগদ ও গয়না উদ্ধার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)
অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মন্ত্রীসভার স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবার বিপাকে। দুর্নীতির মামলায় দিল্লির মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন, স্ত্রী পুনম জৈন ও তাঁদের ঘনিষ্ঠদের কাছ থেকে কোটি টাকারও বেশি নগদ ও গয়না উদ্ধার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সোমবার সত্যেন্দ্র জৈন ও তাঁর সহযোগীদের আবাসিক চত্বরে তল্লাশি চালানো হয়। রিপোর্ট অনুসারে, সোনার বার, কয়েন ও কোটি কোটি টাকা নগদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ৩০ মে একটি মানি লন্ডারিং মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। বর্তমানে ইডির হেফাজতে রয়েছেন তিনি।
এখন পর্যন্ত ২.৮৩ কোটি টাকা নগদ এবং ১.৮ কেজি ওজনের সোনা উদ্ধার করেছে ইডি। আম আদমি পার্টির মন্ত্রীর বিরুদ্ধে তার স্ত্রী, কন্যা, বন্ধু এবং সহযোগীদের সহায়তায় হাওয়ালা লেনদেনের মাধ্যমে ১৬ কোটি টাকার বেশি পাচারের অভিযোগ রয়েছে৷ যদিও দিল্লির মন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জৈনকে একজন "কট্টর সৎ এবং দেশপ্রেমিক" ব্যক্তি বলেছেন, যাকে "মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে" বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের অগাস্টে একটি মানি লন্ডারিং এফআইআর দায়ের করেছিল সিবিআই। যার নেপথ্যে তদন্ত শুরু হয়। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে সিবিআই এই মামলায় একটি চার্জশিট দাখিল করে, যেখানে বলা হয়েছিল যে সত্যেন্দ্র জৈন, দিল্লি সরকারের মন্ত্রী হিসাবে ২০১৫ র ফেব্রুয়ারি এবং ২০১৭ সালের মে এর মধ্যে, প্রচুর সম্পত্তি অর্জন করে যা জ্ঞাত আয়ের উত্স থেকে প্রায় ২১৭ শতাংশ বেশি। সেই চার্জশিটে তার স্ত্রী এবং ব্যবসায়িক সহযোগী - অজিত প্রসাদ জৈন, সুনীল কুমার জৈন এবং তাদের ছেলেদেরও নাম ছিল। যার জেরে আয়কর বিভাগও এই লেনদেনগুলি তদন্ত করেছিল এবং জৈনের নামে "বেনামি সম্পদ" থাকার মামলা করে দেওয়া হয়েছিল।
এখানেই শেষ নয়, ২০১৬ সালের মার্চ মাসে, দিল্লি-ভিত্তিক একটি ফার্মের দেড় লাখ টাকার শেয়ার সত্যেন্দ্র জৈনের স্ত্রী পুনম ১৫ লাখ টাকায় কলকাতার একটি শেল কোম্পানির কাছে বিক্রি করেছিলেন। তদন্ত সংস্থার মতে, এটি সত্যেন্দ্র জৈন এবং কলকাতা-ভিত্তিক শেল কোম্পানির মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছিল। সত্যেন্দ্র জৈনের কন্যারা ব্যবসায় অংশগ্রহণ না করেই তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাওয়ার অভিযোগের বিবরণ রয়েছে। ওই মামলার তল্লাশির জন্য এই রেড করা হয়েছিল, বলে জানা গিয়েছে।