অভিষেকের কনভয়ের গাড়িতে 'লাঠির ঘা' বিজেপি সমর্থকদের, উত্তপ্ত ত্রিপুরা
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ওই হামলার ভিডিও টুইট করেছেন
একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে (West Bengal Assembly Election) বিজেপিকে পরাজিত করে জাতীয় রাজনীতিতে শক্তঘাঁটি স্থাপন করেছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন ঘাসফুল শিবির। আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বিরোধী শক্তি তৈরি করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। সেই উদ্দেশ্যে প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ত্রিপুরা (Tripura) সফরে গিয়েছেন। সঙ্গে গিয়েছেন মলয় ঘটক ও ব্রাত্য বসু। তবে ত্রিপুরার মাটিতে পা দিতেই বিক্ষোভের মাঝে পড়তে হল তাঁদেরকে। বিমানবন্দরে অবতরণের পর ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে যাওয়ার পথে অভিষেকের গাড়িতে লাঠি ছোঁড়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি (BJP) কর্মীদের বিরুদ্ধে। তাঁর গাড়িতে বিজেপি পতাকার একটি লাঠি ছোঁড়া হচ্ছে এমন ভিডিও টুইট করেছেন তিনি। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, অভিষেকের গাড়ির কনভয়ের রাস্তায় দু'পাশে বিজেপি পতাকা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন অনেক মানুষ। অভিষেকের গাড়িতে লাঠির ঘা মারা হচ্ছে। এমনকি এক ব্যক্তি বিজেপি পতাকা নিয়ে গাড়িতে লাঠি দিয়ে মারছেন। এছাড়াও অনেকেই সেখানে গো ব্যাক স্লোগান দিয়েছেন।
মন্দিরে পৌঁছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরা বিজেপি সরকারের তীব্র তুলোধোনা করে বলেছেন, "কয়েকদিন আগে বিজেপি অতিথি দেব ভবোর কথা বলেছে। আর আজ তার উদাহরণ দেখলাম। বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপি নেতারা বাংলায় এসে গণতন্ত্র বলে গলা ফাটাতেন। আজ তাঁরা কোথায়? ত্রিপুরার কি অবস্থা? ত্রিপুরার মানুষ সবকিছুর জবাব দেবে।" অন্যদিকে ত্রিপুরা বিজেপি সাধারণ সম্পাদক কিশোর বর্মন বলেছেন, "অভিষেক বা যে কেউ আসুন, এখানে কিছু করতে পারবেন না। অভিষেককে কোথাও বাধা দেওয়া হয়নি। বিজেপি টিকাদান নিয়ে ঘোষিত কর্মসূচি পালন করছে।"
অন্যদিকে মন্দিরের পথে যাওয়ার সময় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একদল পড়ুয়ার বিক্ষোভের সম্মুখীন হন। দেখা যায়, একদল পড়ুয়া রাস্তায় বসে হাতে পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। এমনকি তারা তৃণমূল সাংসদের গাড়ির সামনে বসে গো ব্যাক স্লোগান দেয়। সেই সময় গাড়ি থেকে নেমে আসেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পড়ুয়াদের মধ্যে কয়েকজনকে ডেকে নিয়ে তিনি তাদের সাথে কথা বলেন। স্কুল সংক্রান্ত ইস্যুতে বিক্ষোভ দেখানোর কারণে তিনি পড়ুয়াদের পরামর্শ দেন যে তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে গোটা ঘটনা জানাতে পারে। এছাড়া প্রয়োজনে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। পড়ুয়াদের সমস্যা শোনার পর তারা তৃণমূল সাংসদের কনভয়ের জন্য রাস্তা ছেড়ে দেয়।