গ্রামাঞ্চলে করোনা রুখতে একাধিক নির্দেশ কেন্দ্রের, জারি সচেতনতা
করোনা হলে কী ওষুধ খাবেন, কী করবেন, কোথায় থাকবেন? নির্দেশিকা কেন্দ্রের
দেশজুড়ে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে করোনার (Corona Pandemic) দ্বিতীয় ঢেউ। ক্রমশ বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। বিদেশ থেকে দেশ, দেশ থেকে রাজ্য, এরপর জেলা, শহরতলি, মফস্বল থেকে শুরু করে গ্রামগুলিতেও হানা দিচ্ছে করোনা। এই পরিস্থিতিতে এবার দেশের শহরতলি, গ্রামীণ এবং আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকাগুলির জন্য বিশেষ নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
একাধিক নির্দেশ সম্পন্ন এই তালিকায় রয়েছে-
১) করোনা মোকাবিলায় নজরদারি, স্ক্রিনিং, হোম এবং কমিউনিটি ভিত্তিক আইসোলেশন, আরও বেশি র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের উপর জোর দিতে বলা হয়েছে।
২) শহরের পাশাপাশি শহরতলি, গ্রাম এবং আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবাকে আরও উন্নত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৩) স্বাস্থ্যকর্মী ও আশাকর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ। এবং গ্রামীণ এলাকাগুলিতে করোনা, ইনফ্লুয়েঞ্জা, হাঁপানি সংক্রান্ত রোগীদের স্বাস্থ্যের খবর রাখতে আশাকর্মীদের সাহায্য নিতে হবে।
৪) গ্রামীণ এলাকাগুলিতে উপসর্গহীন বা মৃদু উপসর্গযুক্তদের হোম আইসোলেশনে থাকার ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়। তাই সেখানে ন্যূনতম ৩০ বেডযুক্ত করোনা কেয়ার সেন্টার বা সেফ হোম খুলতে হবে।
৫) করোনা সংক্রমিত কোনও ব্যক্তির ছ’ফুটের মধ্যে বিনা মাস্ক পরে ১৫ মিনিটের বেশি থাকতে যদি কেউ বাধ্য হন, তাহলে তাঁর টেস্টের ব্যবস্থা করতে হবে অতি শীঘ্রই।
৬) যে রোগীর অক্সিজেন লেভেল অনেকটাই কম, তাঁকে অবশ্য হাসপাতালেই ভর্তি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মৃদু উপসর্গযুক্তদের সেফ হোমের থাকার পরামর্শের সাথেই ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচতে নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ যেমন- ৫০০ মিলিগ্রাম প্যারাসিটামল, কাশির ওষুধ, মাল্টিভিটামিন ট্যাবলেট দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে ওই নির্দেশিকায়।