গোহত্যা বিরোধী আইন সংবিধানগত ভাবে বৈধ, কড়া নির্দেশ কর্ণাটক হাইকোর্টের
'প্রিভেনশন স্লটার অ্যান্ড প্রিজারভেশন ক্যাটল ইল ২০২০' বিলটি পাশ করে বিজেপির ইয়েদুরাপ্পা সরকার
দেশজুড়ে কৃষক আন্দোলন নিয়ে যেখানে প্রবল সমালোচনার মুখে কেন্দ্রের মোদী সরকার, সেখানে বিজেপি শাসিত কর্ণাটক পাশ করল গোহত্যা বিরোধী আইন। আর এই গোহত্যা বিরোধী আইন সংবিধানগত ভাবে বৈধ। রাজ্যের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারকে স্বস্তি দিয়ে এই রায়ই দিল কর্ণাটক হাই কোর্ট ( Karnataka High Court)। 'প্রিভেনশন স্লটার অ্যান্ড প্রিজারভেশন ক্যাটল ইল ২০২০' বিলটি পাশ করে বিজেপির ইয়েদুরাপ্পা সরকার।
এই নয়া বিলের হাত ধরে কর্ণাটকে এবার থেকে গোহত্যা নিয়ে কড়া আইন লাগু হল। সূত্রের খবর, বুধবার এই মামলার শুনানির সময় কর্ণাটক সরকারের তরফে হাই কোর্টে একটি হলফনামা জমা দেওয়া হয়। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে যে গত আট বছরে কর্ণাটকে গরুর পরিমাণ অনেকটাই কমে গিয়েছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০১২ সালে গোটা রাজ্যে ৯৫ লক্ষ ১৬ হাজার ৪৮৪টি গরু ছিল। কিন্তু, ২০১৯ সালে সেই পরিমাণ এসে দাঁড়িয়েছে ৮৪ লক্ষ ৬৯ হাজার ৪টি। ২০১৯ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী আরও জানা গিয়েছে, প্রতিবছর ২ লক্ষ ৩৮ হাজার ২৯৬টি গরুকে মাংসের জন্য হত্যা করা হয়। প্রতিদিন গড়ে যার পরিমাণ ৬৫২টি। গরুর স্বাস্থ্য দেখভালের জন্য রাজ্যজুড়ে ৪ হাজার ২১২টি পশু চিকিৎসা কেন্দ্রও পরিচালনা করছে কর্ণাটক সরকার
কেন্দ্রীয় সরকারের ইনফরমেশন নেটওয়ার্ক ফর অ্যানিমাল প্রোডাক্টিভিটি অ্যান্ড হেলথ (INAPH) স্কিম থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ভারতের এক কোটি ১৫ লক্ষ ৫৩ হাজার ৫৬৪টি গরুর মধ্যে ৯৬ লক্ষ গরুর শরীরে রেডিও ফ্রিকুয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন ডিভাইস লাগানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ৯ডিসেম্বর কর্ণাটক রাজ্য সরকার গোহত্যা বিরোধী বিল পাশ করে। এরপর কেউই কর্ণাটকে অবৈধ ভাবে কসাই খানা চালাতে পারবে না বা গোহত্যাও করতে পারবে না। কর্ণাটকে এই আইন অমান্য করলে ৭ বছরের জেল হবে। এরপরেই এদিন অ্যাডভোকেট জেনারেল প্রভুলিঙ্গ নাভাদগি জানান, 'সংবিধানে বর্ণিত আইন অনুযায়ীই গোহত্যা বিরোধী অর্ডিন্যান্স জারি করা হয়েছে। আর এই গোহত্যা বিরোধী আইন (Anti-cow slaughter ordinance) সংবিধানগত ভাবে বৈধ।'