করোনা কার্ফুর জেরে বাতিল অভিষেকের ত্রিপুরা সফর
অতিথি আসতেই পারেন, তবে পুলিশ নিজের কাজ করবে, কটাক্ষ বিপ্লবের
শনি ও রবিবার দুপুর দুটোর পর থেকে বেশ কিছু বিধিনিষেধ জারি থাকবে ত্রিপুরায়। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আগে লকডাউন নিয়েও বিশেষ কড়াকড়ি রয়েছে সেরাজ্যে। আর সেই কারনেই কার্যত পিছিয়ে গেল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ত্রিপুরা সফর। আজই তাঁর আগরতলা যাওয়া নিয়ে তুঙ্গে ছিল প্রস্তুতি, কিন্তু শেষ মুহূর্তে তা বাতিল করতেই হল। আর এর ফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূল কংগ্রেসের মিশন ত্রিপুরা কিছুটা বাধা পেল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ত্রিপুরায় প্রশান্ত কিশোর সহ আইপ্যাক কর্মীদের বন্দি করে রাখা হয়েছে, এমন অভিযোগ তুলে তাদের মুক্তির দাবিতে ত্রিপুরায় পৌঁছেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য, সাংসদ ডেরেক ও' ব্রায়ান ও মলয় ঘটকরা। সেখানে পৌঁছে স্থানীয় নেতাদের সাথে বৈঠক থেকে শুরু করে সেরাজ্যের বিজেপি সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরে সাংবাদিক বৈঠকে সামিল হওয়া, এই সবের মাঝেই হাজির হয় পুলিশ। যদিও ব্রাত্য বসু মন্তব্য করেন, তাদের সাথে জঙ্গিদমনের মতো আচরণ করছে পুলিশ। জুলুমবাজির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে ত্রিপুরার জনগণ এবং এখানের বিজেপি সরকার ভয় পাচ্ছে তৃণমূলের আগমনে। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব অবশ্য জানিয়েছেন এর সাথে সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই, পুলিশ তার দায়িত্ব পালন করেছে।
করোনা কার্ফুর জেরে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের আজকের ত্রিপুরা সফর বাতিল হয়েছে। কারণ এই বিধিনিষেধের মাঝে অভিষেক ত্রিপুরায় গেলে বিশৃঙ্খলা হতে পারে, হতে পারে অনেক মানুষের জমায়েত। তাই এই দুদিন বাদ রেখে আগামী সোমবার সেরাজ্যে পাড়ি দেবেন তিনি, এমনটাই সূত্রের খবর। যদিও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। ত্রিপুরাবাসী অতিথিদের দেবতা মনে করে, তাই কেউ এখানে আসতে চাইলে স্বাগত, তবে পুলিশ নিজের কাজ করবে, মন্তব্য বিপ্লবের।